কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্সে মিলেছে ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- আপডেট টাইম : ১০:২০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
- / ১৩৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স ০৪ মাস পরে খুলে এবার পাওয়া গেছে ১৯ বস্তা টাকা।।
৬ (মে ) রোজ:শনিবার সকাল ৮:০০ কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দানবাক্স খুলে প্রথমে টাকাগুলো বস্তায় ভিতরে ঢুকানো হয়। পরবর্তীতে পাগলা মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে মেঝেতে ঢেলে টাকা গণনা শুরু করা হয়।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদটিতে আটটি দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন থেকে সাড়ে তিনমাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। তবে এবার করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয় চার মাস পর পর। এবারও দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে চার মাস পর।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্স খোলা হয়। সকাল ৮:০০টায় আটটি দানবাক্স খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যাবে।
টাকা গণনা কাজে সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনা অংশ করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২০ বস্তা টাকা। দিনভর গুনে পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারও মিলেছিল। সে সময় তিন মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে।
এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।
মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে।
কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমিতে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্স।