হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বনানী থানা পুলিশ সাংবাদিককে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন
- আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
- / ৩৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
সিমপ্লেক্স নামক একটি ডেভেলপার কোম্পানি রাজউকের নকশা না মেনে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছেন ও গ্রাহকদের সাথে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে ছলেবলে কৌশলে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করলে অনেকেই প্রতিবেদককে সতর্ক করে বলেন, এরা বড় সিন্ডিকেট, খবর প্রকাশ করলে মামলা, হামলা, এমনকি গুমের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে এ সিন্ডিকেট। স্থানীয় প্রশাসন, কিছু অসাধু সাংবাদিক, রাজউকের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার যোগসাজশে গঠিত হয়েছে এ সিন্ডিকেট। ডেভেলপমেন্টের নামে মানুষের জমি দখল করে বেআইনিভাবে জমির মালিককে বিতাড়িত করা। এছাড়া আদালত অবমাননার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ নানা বিষয়ে জানতে রাজউকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও অথরাইজড অফিসার ইণ্জি. হাসানুজ্জামানের সাথে কথা বলতে গেলে প্রতিবেদককে একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম ব্যবহার করে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এ ব্যাপারে রাজধানীর বনানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন দৈনিক আমার বার্তার সাংবাদিক এ আর মোল্লা। হুমকি প্রদানকালে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক শফিকুল আলম সেলিমসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিল। এ ব্যাপারে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন হাসানুজ্জামান মূলত ব্যক্তিস্বার্থে সিমপ্লেক্সের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। সংবাদ প্রকাশিত হলে হাসানুজ্জামানের স্বার্থে আঘাত লাগবে। তাই তিনি ভুলে গিয়েছিলেন তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। ফলে তিনি সন্ত্রাসীর ভূমিকায় উপনিত হয়ে সাংবাদিক এ আর মোল্লা কে আমার সামনেই হুমকি প্রদান করেছেন।সাংবাদিক সেলিমসহ আরও অনেকেই হাসানুজ্জামানের এ হুমকির ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইণ্জি. হাসানুজ্জামান মূলত রাজউক জোন ৩/১ এর অথরাইজড অফিসার। তেজগাঁও, মহাখালী, ইব্রাহীমপুর ও কাফরুল এলাকার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তিনি কাফরুল ও ইব্রাহীমপুরে সিমপ্লেক্সের ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণের মুল আশ্রয় প্রচ্ছায় দাতা। এছাড়া সিমপ্লেক্স দ্বারা ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা না করে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি সিমপ্লেক্সের পক্ষে কাজ করে চলেছেন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণের বিরুদ্ধে কাফরুলবাসী বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি তা আমলে না নিয়ে বরং অভিযোগকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সাংবাদিককে হুমকি, ভয়ভীতি, লাখ লাখ টাকার বানিজ্যসহ আরও কিছু অভিযোগে তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে অভিযোগের ব্যাপারে বনানী থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে ফোন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে তাগিদ দেন।