ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈষম্যহীন দেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা উৎসবের উল্লাসে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা ভাঙ্গুড়ায় পল্লী পশু চিকিৎসক ও প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়ায় ধরা ভোলালর চরফ্যাসনে মৎস্য অফিসের অফিস সহকারীর আলিশান বাড়ি,গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ টঙ্গীর বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি আদালত এলাকায় জনরোষ থেকে নিরাপত্তা হেফাজতে! “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” শুভ নববর্ষ ১৪৩২ নবীনগর জুলাইপাড়ার প্রবাসী ও গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নতুন রাস্তা ও কাঠের ব্রিজ শুভ উদ্বোধন আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল টঙ্গীতে মহানগর প্রজন্ম দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে গাজীপুরের কাশিমপুরে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে

সাংবাদিককে হুমকি দেয়ায়’ হোয়াইট হাউজ কর্মীকে বরখাস্ত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৭৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক থেকে।।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করায় হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এক নারী সাংবাদিককে ‘ধ্বংস’ করে দেওয়ার হুমকি দেন। যার জেরে তাকে সাতদিনের জন্য বিনা বেতনে বরখাস্ত হতে হয়েছে।

বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপ প্রেস সচিব টি জে ডকলো সম্প্রতি পলিটিকোর রিপোর্টার তারা পামেরিকে ওই হুমকি দেন। পামেরি আরেক সাংবাদিকের সঙ্গে ডকলোর সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছেন।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজের প্রেসসচিব জানান, ওই ঘটনার পর ডকলো সাংবাদিক পামেরির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শুক্রবার এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ডকলো নিজেই প্রথমে স্বীকার করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধি অনুসরণ করতে পারেননি।”

এক সপ্তাহের জন্য বিনা বেতনে বরখাস্ত করা ছাড়াও কাজে ফেরার পর ডকলো আর কখনো পলিটিকোর রিপোর্টারদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ডকলো ব্যক্তিগতভাবে কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানায় বিবিসি।

ডকলোর সঙ্গে এক্সিওস এর সাংবাদিক আলেক্সি ম্যাককমান্ডের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে কাজ করছেন পামেরি।

ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে ডকলো কাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পামেরিকে ফোন করে ডকলো বলেছেন, ‘‘আমি আপনাকে ধ্বংস করে দিব।” তিনি ফোনে আরো অবমাননাকর এবং উদভ্রান্ত কথা বলেছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

ডকলোকে সাময়িক বরখাস্ত করার হলেও অনেকে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাদের মতে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই প্রেসিডেন্ট বাইডেন দৃঢ়ভাবে তার কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, হোয়াইট হাউজের কোনো কর্মী যদি সহকর্মীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন তবে তাকে ‘সঙ্গে সঙ্গে চাকরিচ্যুত’ করা হবে।

বাইডেন বলেছিলেন, আমি একদমই মজা করছি না: যদি এমনকি আপনি আমার সঙ্গেও কাজ করেন এবং আমি শুনতে পাই, আপনি অন্য সহকর্মীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, তবে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলুন। কারণ, আমি তখনই আপনাকে চাকরিচ্যুত করবো। আমি কোনো যদি, এবং, কিন্তু শুনবো না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিককে হুমকি দেয়ায়’ হোয়াইট হাউজ কর্মীকে বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক থেকে।।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করায় হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এক নারী সাংবাদিককে ‘ধ্বংস’ করে দেওয়ার হুমকি দেন। যার জেরে তাকে সাতদিনের জন্য বিনা বেতনে বরখাস্ত হতে হয়েছে।

বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপ প্রেস সচিব টি জে ডকলো সম্প্রতি পলিটিকোর রিপোর্টার তারা পামেরিকে ওই হুমকি দেন। পামেরি আরেক সাংবাদিকের সঙ্গে ডকলোর সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছেন।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজের প্রেসসচিব জানান, ওই ঘটনার পর ডকলো সাংবাদিক পামেরির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শুক্রবার এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ডকলো নিজেই প্রথমে স্বীকার করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধি অনুসরণ করতে পারেননি।”

এক সপ্তাহের জন্য বিনা বেতনে বরখাস্ত করা ছাড়াও কাজে ফেরার পর ডকলো আর কখনো পলিটিকোর রিপোর্টারদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ডকলো ব্যক্তিগতভাবে কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানায় বিবিসি।

ডকলোর সঙ্গে এক্সিওস এর সাংবাদিক আলেক্সি ম্যাককমান্ডের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে কাজ করছেন পামেরি।

ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে ডকলো কাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পামেরিকে ফোন করে ডকলো বলেছেন, ‘‘আমি আপনাকে ধ্বংস করে দিব।” তিনি ফোনে আরো অবমাননাকর এবং উদভ্রান্ত কথা বলেছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

ডকলোকে সাময়িক বরখাস্ত করার হলেও অনেকে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাদের মতে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই প্রেসিডেন্ট বাইডেন দৃঢ়ভাবে তার কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, হোয়াইট হাউজের কোনো কর্মী যদি সহকর্মীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন তবে তাকে ‘সঙ্গে সঙ্গে চাকরিচ্যুত’ করা হবে।

বাইডেন বলেছিলেন, আমি একদমই মজা করছি না: যদি এমনকি আপনি আমার সঙ্গেও কাজ করেন এবং আমি শুনতে পাই, আপনি অন্য সহকর্মীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, তবে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলুন। কারণ, আমি তখনই আপনাকে চাকরিচ্যুত করবো। আমি কোনো যদি, এবং, কিন্তু শুনবো না।