ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন

মোংলার বীনা মল্লিক একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৪:২১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৭৭ ০.০০০ বার পাঠক

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।

একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা বীনা মল্লিক, মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারি এলাকায় তার বাড়ি, ঢাকার একটি প্রাইভেট কম্পনিতে একাউন্টসে চাকরি করতেন।
করোনা কালিন সময়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ জন্মভুমি মোংলাতে চলে আসেন। নিজেকে স্বাবলম্বি করতে এবং ফ্যামেলি সচ্ছল করতে উদ্যোগ নেন ফাস্টফুড বা রেস্টুরেন্ট ব্যাবসার।
নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা ও তার স্বামি জয়ন্ত ঠাকুরের সহায়তায় নিজ গ্রাম কাইনমারিতে একটি মাছের ঘেরের উপরে তৈরি করেন বাশ ও কাঠের কারুকার্যে তৈরী রুবি ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্ট।

ইতি মধ্যে যা মোংলা উপজেলার সকল শ্রেনির মানুষের কাছে বিনোধন কেন্দ্র বা কফি হাউজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিকেল হলেই এখানে চলে আসেন বিভিন্ন পেশার সাধারন মানুষ সহ মোংলাতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।

সেখানে ঘুরতে বা খেতে আসা মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন শহরের বাহিরে এরকম একটি নিরিবিলি জায়গায় এই রেস্টুরেন্টি খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর যা আমাকে আকৃস্ট করেছে।

রেস্টুরেন্টে স্বপরিবারে খেতে আসা হলদিবুনিয়া গ্রামের মুকুল বাড়ই( ৭০) বলেন মানুষের কাছে শুনেছি একটি মেয়ে এখানে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছে তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখতে ও খেতে আসলাম।

ব্যাবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে বীনা মল্লিক জানান প্রথমে অনেকেই আমাকে নিষেধ করেছিল এখানে কিছু না করতে,এটা একটি গ্রাম, এখানে কেউ আসবেনা কিন্তু আমি নিজের এবং আমার ফ্যামেলির অনুপ্রেরনায় পানীর উপরে রেস্টুরেন্টি চালু করি, এবং বেশ অল্পদিনেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাই, বর্তমানে কাস্টমারের চাহিদা এতো বেশিযে অনেক কাস্টমারকে বসতেই দিতে পারিনা, আগামিতে আমার রেস্টুরেন্টের পরিধি আরো বাড়াবো বলে চিন্তা করছি, তাতে করে আমার এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়ে এখানে কাজ করার সুজগ পাবে। বর্তমানে আমার রেস্টুরেন্ট ৪ জনের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্তা হয়েছে, আমি চাই আমার মতো সকল নারীরা অন্যোর উপর নির্ভর না করে নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসুক এবং আত্বনির্ভর শীল হয়ে নিজ এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করুক।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত

মোংলার বীনা মল্লিক একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা

আপডেট টাইম : ০৯:২৪:২১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।

একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা বীনা মল্লিক, মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারি এলাকায় তার বাড়ি, ঢাকার একটি প্রাইভেট কম্পনিতে একাউন্টসে চাকরি করতেন।
করোনা কালিন সময়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ জন্মভুমি মোংলাতে চলে আসেন। নিজেকে স্বাবলম্বি করতে এবং ফ্যামেলি সচ্ছল করতে উদ্যোগ নেন ফাস্টফুড বা রেস্টুরেন্ট ব্যাবসার।
নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা ও তার স্বামি জয়ন্ত ঠাকুরের সহায়তায় নিজ গ্রাম কাইনমারিতে একটি মাছের ঘেরের উপরে তৈরি করেন বাশ ও কাঠের কারুকার্যে তৈরী রুবি ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্ট।

ইতি মধ্যে যা মোংলা উপজেলার সকল শ্রেনির মানুষের কাছে বিনোধন কেন্দ্র বা কফি হাউজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিকেল হলেই এখানে চলে আসেন বিভিন্ন পেশার সাধারন মানুষ সহ মোংলাতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।

সেখানে ঘুরতে বা খেতে আসা মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন শহরের বাহিরে এরকম একটি নিরিবিলি জায়গায় এই রেস্টুরেন্টি খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর যা আমাকে আকৃস্ট করেছে।

রেস্টুরেন্টে স্বপরিবারে খেতে আসা হলদিবুনিয়া গ্রামের মুকুল বাড়ই( ৭০) বলেন মানুষের কাছে শুনেছি একটি মেয়ে এখানে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছে তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখতে ও খেতে আসলাম।

ব্যাবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে বীনা মল্লিক জানান প্রথমে অনেকেই আমাকে নিষেধ করেছিল এখানে কিছু না করতে,এটা একটি গ্রাম, এখানে কেউ আসবেনা কিন্তু আমি নিজের এবং আমার ফ্যামেলির অনুপ্রেরনায় পানীর উপরে রেস্টুরেন্টি চালু করি, এবং বেশ অল্পদিনেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাই, বর্তমানে কাস্টমারের চাহিদা এতো বেশিযে অনেক কাস্টমারকে বসতেই দিতে পারিনা, আগামিতে আমার রেস্টুরেন্টের পরিধি আরো বাড়াবো বলে চিন্তা করছি, তাতে করে আমার এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়ে এখানে কাজ করার সুজগ পাবে। বর্তমানে আমার রেস্টুরেন্ট ৪ জনের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্তা হয়েছে, আমি চাই আমার মতো সকল নারীরা অন্যোর উপর নির্ভর না করে নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসুক এবং আত্বনির্ভর শীল হয়ে নিজ এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করুক।