মিরপুরের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী নেহা গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ০৬:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ৩৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার।।
বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া মিরপুরের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী নেহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুণ অর রশিদ জানিয়েছেন।
এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মারা গেছেন।
নেহাকে নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হারুণ বলেন, মামলায় যে অজ্ঞাত পরিচয় যার কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ওই তরুণী তার বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীর ডাকে সাড়া দিয়ে মিরপুরের আহমাদবাগের বাসা থেকে বের হয়। রায়হান স্কুটিতে করে মেয়েটিকে নিয়ে লালমাটিয়ায় তাদের বন্ধু আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটি রেখে তিনজন মিলে একটি গাড়িতে করে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় যান।
তাদের বান্ধবী নেহা এবং অপর এক ছেলে বন্ধু সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল। এই পাঁচজন মিলে একসঙ্গে ‘মদ্যপান করেন’।
নেহা ও তার সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধু প্রথমে চলে যান। পরে ওই তরুণী, রায়হান ও আরাফাত একসঙ্গে বের হন।
আরাফাত গুলশানে নেমে গিয়ে সেখান থেকে মাওয়ায় গিয়ে আরেকটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান উপকমিশনার হারুন।
তিনি বলেন, ওই তরুণীকে নিয়ে রাতে মোহাম্মদপুরে তাদের আরেক বান্ধবী নুহাদ আলম তাফসীরের বাসায় উঠেন রায়হান। সেখানে ওই তরুণী বেশ কয়েক বার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই বাসায় তরুণীকে রায়হান ধর্ষণ করেন বলে তরুণীর বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
উপকমিশনার হারুণ বলেন, পরদিন শুক্রবার অসুস্থ থাকলেও মেয়েটির কোনো চিকিৎসা হয়নি। শনিবার ভোরে ওই বাসা থেকেই তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, ওই তরুণীর মৃত্যূর খবর জানার পর তাদের বন্ধু আরাফাতের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আরাফাত শুক্রবারই মারা গেলেও পরে জানতে পারে পুলিশ।
তিনি বলেন, তদন্তে জানা গেছে আরাফাত উত্তরায় মদ্যপান করার পর আরেকটি পার্টিতে মাওয়া গিয়েছিলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয় এবং কাউকে না জানিয়ে স্বজনরা রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করেন।