ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সোশ্যাল মিডিয়ায় টাইম দিতে না হলে আমি অনেক ইউজফুল কাজ করতে পারতাম রাজধানীর গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ডিবি গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যান ও এক সচিবের বিরুদ্ধে মামলা নগর ভবনের গেটে তালা, উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি পরিবারসহ অধরা পাপন নাজমুল হাসান পাপন দি চায়না পার্ক রেস্টুরেন্ট চিটাগাংরোড নারায়ণগঞ্জ আগুলিয়ায় ফেক হোয়াটসঅ্যাপ আইডি ও বিকাশ নম্বর ব্যবহার করে হয়রানির অভিযোগ চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের বাছাইকৃত কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত কাশিমপুরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ‘হানিফ সরিষার তৈল

পরীমণির খুনিদের গ্রেপ্তার স্বামী ও  সতিন’কে

মোঃ জামাল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিনিধ।
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ২২১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সিরাজগঞ্জ জেলার গরীব ঘরের মেয়ে পরীমণি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।স্বর্গ সুখের আশায় সলঙ্গা থানার এক যুবকের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এবং বছর তিনেক আগে বিয়ে করে,

বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান আসে সন্তানটির বর্তমান বয়স আনুমানিক দুই বছর।কিন্তু প্রথম অবস্থায় জানতো না যে তার স্বামী বিবাহিত ঘরে আছে বড় বউ।সবকিছু মেনে নিয়ে ভালোই চলছিলো জোড়াতালি দিয়ে

পারিবারিক সমস্যার কারনে জীবিকার ত্যাগিদে স্বামী সতিনের সাথে গাজীপুর চলে আসেন এবং গার্মেন্টসে চাকুরী শুরু করেন

সংসারের স্বচ্ছতা ফিরাইতে।আর এখানেই ঘটে বিপত্তি, পরিশেষে স্বামী-সতিনের হাতে জীবন দিতে হলো পরীমণীকে আর তার দুই বছরের সন্তানটি হলো মা হারা,পরীর বাবা মা হলো সন্তান হারা।

নিয়তির নির্মম পরিহাস পরীমণিকে হত্যার পর ও তার পরিবার পুলিশ কাছে বার বার ধরনা দিয়েও মামলা নেওয়াতে পারেনি অদৃশ্য কারনে।এমন কি পারেনি একটি লিখিত অভিযোগ ও করতে।

আসলে গরীবের লাশ যে আমাদের সমাজে কতটা বোঝা হয় এ কাজ করতে না গেলে এতটা পরিষ্কার আমি বুঝতাম না।হয়তো আমি/আমরা এ ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে না থাকলে পরিবারটি আজ খুনিদের শাস্তির মুখোমুখি করতে পারত না।কারণ হত্যাকারীরা ইতিমধ্যে-ই কয়েক শ্রেণীর মানুষ রূপী পশুদের কিনে নিয়েছিলো।আর তারাও নীতি নৈতিকতা ভুলে বিক্রি হয়েছিলো বাজারের পণ্যের মত পরীমণির খুনিদের কাছে।

আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রশাসনের কিছু সৎ ভাইদের কারনে আজ পরীমণির খুনিরা গ্রেফতার হয়েছে।যাইহোক- দিনশেষে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ওসি’কে শুভেচ্ছা কারণ আপনার কোন চেষ্টায় হত্যাকারীদের বাঁচাতে পারলো না।কারণ দেশে এখনো যোগ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছে।
এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে ও আসামীদের আইনের মুখোমুখি করতে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ থেকে শ্রীপুর থানা গাজীপুরে প্রতিনিয়ত দৌঁড় ঝাঁপ করতে হত আমাদের।আর তার বিনিময়ে কোন কিছু আমরা ভুক্তভোগী পরিবার কাছ থেকে গ্রহণ করিনি এমন কি উনাদের এ গ্লাস পানি ও প্রাণ করিনি বুকে হাত রেখে বলতে পারি।নিজেদের গাড়ীর তৈল আর পকেটের টাকা ফুরিয়ে এ পর্যন্ত আজ এসেছি।বরং উনাদের যতটুকু পেরেছি সহযোগীতা করেছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পরীমণির খুনিদের গ্রেপ্তার স্বামী ও  সতিন’কে

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

সিরাজগঞ্জ জেলার গরীব ঘরের মেয়ে পরীমণি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।স্বর্গ সুখের আশায় সলঙ্গা থানার এক যুবকের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এবং বছর তিনেক আগে বিয়ে করে,

বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান আসে সন্তানটির বর্তমান বয়স আনুমানিক দুই বছর।কিন্তু প্রথম অবস্থায় জানতো না যে তার স্বামী বিবাহিত ঘরে আছে বড় বউ।সবকিছু মেনে নিয়ে ভালোই চলছিলো জোড়াতালি দিয়ে

পারিবারিক সমস্যার কারনে জীবিকার ত্যাগিদে স্বামী সতিনের সাথে গাজীপুর চলে আসেন এবং গার্মেন্টসে চাকুরী শুরু করেন

সংসারের স্বচ্ছতা ফিরাইতে।আর এখানেই ঘটে বিপত্তি, পরিশেষে স্বামী-সতিনের হাতে জীবন দিতে হলো পরীমণীকে আর তার দুই বছরের সন্তানটি হলো মা হারা,পরীর বাবা মা হলো সন্তান হারা।

নিয়তির নির্মম পরিহাস পরীমণিকে হত্যার পর ও তার পরিবার পুলিশ কাছে বার বার ধরনা দিয়েও মামলা নেওয়াতে পারেনি অদৃশ্য কারনে।এমন কি পারেনি একটি লিখিত অভিযোগ ও করতে।

আসলে গরীবের লাশ যে আমাদের সমাজে কতটা বোঝা হয় এ কাজ করতে না গেলে এতটা পরিষ্কার আমি বুঝতাম না।হয়তো আমি/আমরা এ ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে না থাকলে পরিবারটি আজ খুনিদের শাস্তির মুখোমুখি করতে পারত না।কারণ হত্যাকারীরা ইতিমধ্যে-ই কয়েক শ্রেণীর মানুষ রূপী পশুদের কিনে নিয়েছিলো।আর তারাও নীতি নৈতিকতা ভুলে বিক্রি হয়েছিলো বাজারের পণ্যের মত পরীমণির খুনিদের কাছে।

আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রশাসনের কিছু সৎ ভাইদের কারনে আজ পরীমণির খুনিরা গ্রেফতার হয়েছে।যাইহোক- দিনশেষে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ওসি’কে শুভেচ্ছা কারণ আপনার কোন চেষ্টায় হত্যাকারীদের বাঁচাতে পারলো না।কারণ দেশে এখনো যোগ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছে।
এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে ও আসামীদের আইনের মুখোমুখি করতে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ থেকে শ্রীপুর থানা গাজীপুরে প্রতিনিয়ত দৌঁড় ঝাঁপ করতে হত আমাদের।আর তার বিনিময়ে কোন কিছু আমরা ভুক্তভোগী পরিবার কাছ থেকে গ্রহণ করিনি এমন কি উনাদের এ গ্লাস পানি ও প্রাণ করিনি বুকে হাত রেখে বলতে পারি।নিজেদের গাড়ীর তৈল আর পকেটের টাকা ফুরিয়ে এ পর্যন্ত আজ এসেছি।বরং উনাদের যতটুকু পেরেছি সহযোগীতা করেছি।