ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রকৃতির নিপুন কারিগর বাবুই পাখি বিলুপ্তির পথে

নিপুন কারিগর বলা হয় বাবুই পাখিকে। বাবুই পাখিরা শারীকভাবে ছোট হলেও তাদের জ্ঞান ভান্ডার রয়েছে প্রচুর। এক সময় গ্রাম-অঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল তাদের। সুরেলা শব্দে মন মাতানো কিচিরমিচির শব্দ আগের মত এখন তেমন শোনা যায় না। বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা। বয়স্করা জানান, পাখিটি খুবই বুদ্ধিমান ও দেখতে ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।

চোখে আর পড়ে না গ্রাম-গঞ্জের বাড়ির ধারে কিংবা পুকুর পাড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছ। তাল গাছের কচি পাতা,নারিকেল গাছের কচি পাতা, সুপারি পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করতো নিপুন কারিগর বাবুই পাখি। বাবুই পাখি তার ছোট ঠোঁট দিয়ে এমন নিখুঁত ভাবে বাসা তৈরি করতো যে, বৃষ্টির পানি ভিতরে স্পর্শ করতে পারে না।

ছোট ঠোঁট দিয়ে তৈরি করা বাসাটি এতোটাই মজবুত ছিলো যে তা টেনেও ছেড়া যেতো না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির নিপুন কারিগর শিল্প বাবুই পাখি। তবে একটা সময় গ্রাম-অঞ্চলে তাদের দেখে মিলতো বেশি।

হালকা বাতাস এলেই দোলতে থাকে বাসাটি। বাসার মাঝখানে থাকে রশিদ মতো সেখানে বসে সুরেলা কণ্ঠে কিচিরমিচির করতে শুনা যেতো। বসবাস করার জন্য বাসার দুই পাশে আড়া তৈরি করতো আর সেই খানেই ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটাত এবং বসবাস করতো।

ভোরবেলার কিচিরমিচির, সুমধুর ডাকাডাকি আর উড়াউড়ি করতে দেখা যেতো রোজ । মুলত তালগাছেই বাসা বাঁধতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বাবুই পাখি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

প্রকৃতির নিপুন কারিগর বাবুই পাখি বিলুপ্তির পথে

আপডেট টাইম : ০৫:২৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

নিপুন কারিগর বলা হয় বাবুই পাখিকে। বাবুই পাখিরা শারীকভাবে ছোট হলেও তাদের জ্ঞান ভান্ডার রয়েছে প্রচুর। এক সময় গ্রাম-অঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল তাদের। সুরেলা শব্দে মন মাতানো কিচিরমিচির শব্দ আগের মত এখন তেমন শোনা যায় না। বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা। বয়স্করা জানান, পাখিটি খুবই বুদ্ধিমান ও দেখতে ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।

চোখে আর পড়ে না গ্রাম-গঞ্জের বাড়ির ধারে কিংবা পুকুর পাড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছ। তাল গাছের কচি পাতা,নারিকেল গাছের কচি পাতা, সুপারি পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করতো নিপুন কারিগর বাবুই পাখি। বাবুই পাখি তার ছোট ঠোঁট দিয়ে এমন নিখুঁত ভাবে বাসা তৈরি করতো যে, বৃষ্টির পানি ভিতরে স্পর্শ করতে পারে না।

ছোট ঠোঁট দিয়ে তৈরি করা বাসাটি এতোটাই মজবুত ছিলো যে তা টেনেও ছেড়া যেতো না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির নিপুন কারিগর শিল্প বাবুই পাখি। তবে একটা সময় গ্রাম-অঞ্চলে তাদের দেখে মিলতো বেশি।

হালকা বাতাস এলেই দোলতে থাকে বাসাটি। বাসার মাঝখানে থাকে রশিদ মতো সেখানে বসে সুরেলা কণ্ঠে কিচিরমিচির করতে শুনা যেতো। বসবাস করার জন্য বাসার দুই পাশে আড়া তৈরি করতো আর সেই খানেই ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটাত এবং বসবাস করতো।

ভোরবেলার কিচিরমিচির, সুমধুর ডাকাডাকি আর উড়াউড়ি করতে দেখা যেতো রোজ । মুলত তালগাছেই বাসা বাঁধতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বাবুই পাখি।