ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

চাটমোহরে পাশাপাশি তিন বাড়িতে ৩০ মৌচাক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
  • / ২৬৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

পাবনা রিপোর্টার।।
চাটমোহর-ফৈলজানা সড়কের পাশে মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে পাশাপাশি তিনটি বাড়ি এখন যেন মৌবাড়িতে পরিণত হয়েছে। একটি বাড়ির ছাদের কার্নিশ জুড়ে, দরজা-জানালার সঙ্গে, একটি বাড়ির চালের সঙ্গে, বাঁশের সঙ্গে এবং অন্য একটি বাড়ির দরজা-জানালা আর আঙিনায় ছোট আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ৩০টি মৌচাক। ছোট ছোট আরো দুই-তিনটি মৌচাকও রয়েছে।

এর মধ্যে ইন্তার আলী নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত পাকা বাড়ি রয়েছে। অন্য দুটি বাড়ির এসব মৌচাকের লাখো মৌমাছির সঙ্গেই বসবাস করছেন বাড়ির লোকজন। বাড়ির মালিক আ. মজিদ ও জাকির হোসেন। চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে মূলগ্রামের শাহপুর গ্রামের তিনটি বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে শাহপুর গ্রামের ঐ তিন বাড়ির চারদিক ঘুরে দেখা গেছে কেবল মৌচাক আর মৌচাক।

আরও পড়ুন: এক বাড়িতে ২০টি মৌচাক

বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, এর আগে বাড়িটিতে প্রতি বছর দুই-একটা মৌচাক বসত। তবে এবার এত মৌচাক বসবে তা তিনি কল্পনাও করেননি। পাশের ইন্তার আলীর পরিত্যক্ত বাড়িটিই মূলত মৌমাছির ঘাঁটি। সেখান থেকেই আমাদের পাশের দুই বাড়িতে এর বিস্তার।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি বলে সবার কাজকর্ম একটু বেশিই। মৌমাছিরও তো ছোটাছুটির অন্ত নেই। কাজ করতে গেলেই মৌমাছির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মৌমাছিগুলো যেন তাদের পরিবারেরই সদস্য হয়ে গেছে। এই গ্রামে কখনো এক বাড়িতে একসঙ্গে এত মৌচাক তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, মধুর সন্ধানে মৌমাছি বনে গিয়ে মৌচাক তৈরি করে। বাড়ি বা বাড়ির পাশের গাছে মৌচাক থাকে। কিন্তু যদি এত পরিমাণ মৌচাক একসঙ্গে থাকে, তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর। এলাকাটি সরিষা চাষ প্রধান হওয়ায় মৌমাছি এখানে ভিড় করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাটমোহরে পাশাপাশি তিন বাড়িতে ৩০ মৌচাক

আপডেট টাইম : ০৬:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১

পাবনা রিপোর্টার।।
চাটমোহর-ফৈলজানা সড়কের পাশে মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে পাশাপাশি তিনটি বাড়ি এখন যেন মৌবাড়িতে পরিণত হয়েছে। একটি বাড়ির ছাদের কার্নিশ জুড়ে, দরজা-জানালার সঙ্গে, একটি বাড়ির চালের সঙ্গে, বাঁশের সঙ্গে এবং অন্য একটি বাড়ির দরজা-জানালা আর আঙিনায় ছোট আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ৩০টি মৌচাক। ছোট ছোট আরো দুই-তিনটি মৌচাকও রয়েছে।

এর মধ্যে ইন্তার আলী নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত পাকা বাড়ি রয়েছে। অন্য দুটি বাড়ির এসব মৌচাকের লাখো মৌমাছির সঙ্গেই বসবাস করছেন বাড়ির লোকজন। বাড়ির মালিক আ. মজিদ ও জাকির হোসেন। চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে মূলগ্রামের শাহপুর গ্রামের তিনটি বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে শাহপুর গ্রামের ঐ তিন বাড়ির চারদিক ঘুরে দেখা গেছে কেবল মৌচাক আর মৌচাক।

আরও পড়ুন: এক বাড়িতে ২০টি মৌচাক

বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, এর আগে বাড়িটিতে প্রতি বছর দুই-একটা মৌচাক বসত। তবে এবার এত মৌচাক বসবে তা তিনি কল্পনাও করেননি। পাশের ইন্তার আলীর পরিত্যক্ত বাড়িটিই মূলত মৌমাছির ঘাঁটি। সেখান থেকেই আমাদের পাশের দুই বাড়িতে এর বিস্তার।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি বলে সবার কাজকর্ম একটু বেশিই। মৌমাছিরও তো ছোটাছুটির অন্ত নেই। কাজ করতে গেলেই মৌমাছির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মৌমাছিগুলো যেন তাদের পরিবারেরই সদস্য হয়ে গেছে। এই গ্রামে কখনো এক বাড়িতে একসঙ্গে এত মৌচাক তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, মধুর সন্ধানে মৌমাছি বনে গিয়ে মৌচাক তৈরি করে। বাড়ি বা বাড়ির পাশের গাছে মৌচাক থাকে। কিন্তু যদি এত পরিমাণ মৌচাক একসঙ্গে থাকে, তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর। এলাকাটি সরিষা চাষ প্রধান হওয়ায় মৌমাছি এখানে ভিড় করেছে।