ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা ভোটের আগে বারুইপুর জেলা পুলিশের বড় সাফল্য, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে যেতে পারবেন না হাজীরা জামালপুরে পাটের পরিবর্তে, পাট শাক চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে শিক্ষা নিতে বললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানের চাল কত টাকা কিনা হবে জানালেন মন্ত্রী সুন্দরবনের অগ্নিকান্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে

হৃদয় হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মা

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সুজন ওরফে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে সোমবার। আদালতে সাক্ষ্য দিতে উঠে একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজন ওরফে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।

এ সময় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ জন কিশোর অপরাধী উপস্থিত ছিল।

সুজন ওরফে হৃদয় ওই সময় বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ৩ দিন পরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ গ্রেড প্রাপ্ত হয় হৃদয়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে গেলে সুজন ওরফে হৃদয়ের বন্ধু কিশোর অপরাধী ইউনুস কাজির সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া হয়। এ সময় ইউনুস কাজির সঙ্গে অন্য কিশোর গ্যাং হৃদয়কে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। হৃদয় বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।

হৃদয়কে পেটানোর ভিডিও দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। হৃদয়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। হৃদয়কে পিটিয়ে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। হৃদয়কে ওই দিন বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেওয়ার পথেই মারা যায়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ২ খণ্ডে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হৃদয়ের মা গনমাধ্যমকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে হৃদয়কে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হৃদয় আজ নেই। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবে। মৃত্যুর তিন দিন পরে রেজাল্ট বের হয়। আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আসামিরা আমাকে টাকা দিয়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা

হৃদয় হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মা

আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৫২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সুজন ওরফে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে সোমবার। আদালতে সাক্ষ্য দিতে উঠে একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজন ওরফে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।

এ সময় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ জন কিশোর অপরাধী উপস্থিত ছিল।

সুজন ওরফে হৃদয় ওই সময় বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ৩ দিন পরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ গ্রেড প্রাপ্ত হয় হৃদয়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে গেলে সুজন ওরফে হৃদয়ের বন্ধু কিশোর অপরাধী ইউনুস কাজির সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া হয়। এ সময় ইউনুস কাজির সঙ্গে অন্য কিশোর গ্যাং হৃদয়কে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। হৃদয় বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।

হৃদয়কে পেটানোর ভিডিও দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। হৃদয়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। হৃদয়কে পিটিয়ে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। হৃদয়কে ওই দিন বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেওয়ার পথেই মারা যায়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ২ খণ্ডে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হৃদয়ের মা গনমাধ্যমকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে হৃদয়কে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হৃদয় আজ নেই। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবে। মৃত্যুর তিন দিন পরে রেজাল্ট বের হয়। আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আসামিরা আমাকে টাকা দিয়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।