ডিলারের বাসা থেকে ৩ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধার
- আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা প্রশাসনের পরিচালিত সোমবার রাতে একটি বসতঘর থেকে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ৩ হাজার ২৭৫ কেজি সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত চাউলের বস্তায় সরকারি সিল থাকায় তদন্তে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বস্তা ভর্তি এ চাল জব্দ করে উপজেলা পরিষদের গোডাউনে জমা রাখেন।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিএম ওলিউল ইসলামকে প্রধান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মোস্তফা এবং ওসিএলএসডি রিগান দেবনাথের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিস্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার বিকাল ৫টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মা: সুহৃদ সালেহীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেতাগী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ও বেতাগী সদর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মনির হোসেন লাভলুর বাসায় রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সরকারি সিলযুক্ত চালের বস্তা থেকে ব্র্যান্ডিং বস্তায় প্যাকেটজাত করা মজুদকৃত ৩ হাজার ২৭৫ কেজি (৩ টনের অধিক) চাল জব্দ করেন। যা ৮৯টি বস্তাাভর্তি ছিলো গুদামে দেখা গেছে। এ সময় ডিলার মনির হোসেন লাভলু নিজ বাসার একটি বদ্ধ ঘরের মধ্যে বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের বস্তায় সরকারি এ চাল প্যাকেটজাত করছিলেন বলে জানা যায়। এ চাল ওএমএস কর্মসূচির বলে উপজেলা প্রশাসন এমনই ধারনা করছে।
এ বিষয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো: মনির হোসেন লাভলু জানান, ওই চাল ওএমএস কর্মসূচির নয়। স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রনিধিদের কাছ থেকে টিআর, কাবিখার চাল ক্রয় শেষে তা তাঁর বাসায় বিক্রির উদেশ্যে মজুদ করেছেন। দাম কম থাকার কারণে তা বিক্রি করতে পারেন নি। টিআর এবং কাবিখার চাল খোলা বাজারে ক্রয়ের প্রমান দেখাতে চাইলেও ইউএনও তার কাগজ না দেখে অন্য চাউলসহ সকল চাউল জব্দ করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সুহৃদ সালেহীন বলেন, এটা সরকারি চাল কোন দ্বিমত নেই। তবে কি ভাবে এই ডিলার পেয়েছেন তা যাচাই-বাছাই এর জন্য ৩ সদস্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার বলা হয়েছে। জব্দকরা চাল উপজেলা পরিষদের গোডাউনে মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।