ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪৬৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বাজেটে একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে অপ্রদর্শিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, তা স্ববিরোধিতা। মাত্র ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না—এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতাদের আরো নিরুত্সাহিত করা হবে। যথাযথ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে কালো টাকা আয়-উপার্জনের পথ বন্ধ করা এবং উদ্ধারে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক প্রস্তাবনায় ফোরামের পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি

এতে বলা হয়েছে, রাজস্ব আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির কিছু সূচকের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার। বাস্তবতাকে স্বীকার করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হওয়া উচিত। করোনার সময়ে বাংলাদেশ ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে বড় উলম্ফন হতে যাচ্ছে—এ ধরনের অনুমান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভুল বার্তা দিতে পারে। এ বছর আপাতত প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের নজর জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থান কতটা টিকে থাকবে সেদিকে নজর রাখতেই হবে।

দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে: অর্থমন্ত্রী

করোনাসংকটে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কর্মসংস্থান। করোনার প্রভাবে বাজেট প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের গুরুত্ব আলোচিত হলেও, শিক্ষা, দক্ষ জনসম্পদ তৈরি, কর্মসৃজনমূলক শিল্প উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে। গত বাজেটে কৃষি ও কৃষকের বিমার প্রস্তাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা, খামারি, মাছ চাষির কাছে প্রণোদনার টাকা পৌঁছায়নি। ব্যাংক বা আর্থিক খাতে বিশাল ব্যধির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ধনী আরও ধনী হওয়ার সহজ সুযোগে আয় বৈষম্য বেড়েই চলেছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বরাদ্দ আরও বেশি থাকা দরকার। ব্যাংকিং খাতকে যথা আস্থার স্থানে ফিরিয়ে আনতে না পারলে সেটি হবে অর্থনীতির জন্য করোনার চাইতে ভয়াবহ সংক্রামক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে

আপডেট টাইম : ০৫:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বাজেটে একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে অপ্রদর্শিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, তা স্ববিরোধিতা। মাত্র ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না—এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতাদের আরো নিরুত্সাহিত করা হবে। যথাযথ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে কালো টাকা আয়-উপার্জনের পথ বন্ধ করা এবং উদ্ধারে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক প্রস্তাবনায় ফোরামের পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি

এতে বলা হয়েছে, রাজস্ব আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির কিছু সূচকের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার। বাস্তবতাকে স্বীকার করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হওয়া উচিত। করোনার সময়ে বাংলাদেশ ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে বড় উলম্ফন হতে যাচ্ছে—এ ধরনের অনুমান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভুল বার্তা দিতে পারে। এ বছর আপাতত প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের নজর জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থান কতটা টিকে থাকবে সেদিকে নজর রাখতেই হবে।

দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে: অর্থমন্ত্রী

করোনাসংকটে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কর্মসংস্থান। করোনার প্রভাবে বাজেট প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের গুরুত্ব আলোচিত হলেও, শিক্ষা, দক্ষ জনসম্পদ তৈরি, কর্মসৃজনমূলক শিল্প উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে। গত বাজেটে কৃষি ও কৃষকের বিমার প্রস্তাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা, খামারি, মাছ চাষির কাছে প্রণোদনার টাকা পৌঁছায়নি। ব্যাংক বা আর্থিক খাতে বিশাল ব্যধির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ধনী আরও ধনী হওয়ার সহজ সুযোগে আয় বৈষম্য বেড়েই চলেছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বরাদ্দ আরও বেশি থাকা দরকার। ব্যাংকিং খাতকে যথা আস্থার স্থানে ফিরিয়ে আনতে না পারলে সেটি হবে অর্থনীতির জন্য করোনার চাইতে ভয়াবহ সংক্রামক।