মেরামতকারী থেকে নকল মোবাইল কারাখানা গড়ে তুলেন স্বপন
- আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ আগস্ট ২০২২
- / ১৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
এ সময় কারখানা থেকে বিপুল সংখ্যক নকল মোবাইল ফোন ও যন্ত্রপাতি উদ্ধারের পাশাপাশি কারখানার মালিক এবং প্রধান কারিগর মো. স্বপনকেও (২৬) আটক করেছে র্যাব।
সোমবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভয়াবহ নাশকতা চালাতে প্রতারক চক্রটি দেশের বাজারে এই অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। দেশে সহিংসতার জন্য অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটসহ হাতে হাতে পৌঁছে দিতে প্রতারক চক্রটি। পুরো প্রক্রিয়ার নেপথ্য কারিগর ছিলেন মো. স্বপন (২৬)।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) সহযোগিতায় স্বপনের কারখানায় র্যাবের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি মোবাইল ফোন, ৩ হাজার ৩৭০টি মোবাইলের নকল ব্যাটারি, ১২০টি হেডফোন, চার্জার কেবল ৩৮৫টি, নকল মোবাইল চার্জার ১ হাজার ১৫৫টি, সিলার মেশিন, হিট গান, ৪৩টি মোবাইল ডিসপ্লে, ইলেকট্রিক সেনসর ১০টি, ১৩টি আইএমইআই কাটার মেশিন জব্দ করা হয়। এ ছাড়া বিপুল পরিমান ভুয়া আইএমইআই স্টিকার ও ভুয়া বারকোড উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরও জানান, স্বপনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি পাস। তিনি এক বছর ধরে মোবাইল ফোন তৈরির কারখানার অনুমোদন চেয়ে আসছিলেন। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার অনুমোদ না পেলেও কারখানায় দিনে ৫০টি করে ফোন তৈরি করে আসছিলেন। দৈনিক ২০০টিরও বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি করতেন তিনি। তার কারখানায় সাধারণ আকারের মোবাইলের পাশাপাশি বিশেষ আকৃতির (২.৫ ইঞ্চি) মোবাইল ফোন তৈরি হতো। এসব মোবাইল দিয়ে কথা বলা ছাড়াও বিভিন্ন কাজ করা যায়। এই মোবাইল ফোনগুলো কোনো অপরাধী চক্র অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে কি না জানতে তদন্ত করছে র্যাব।
এই ঘটনায় আটক স্বপনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।