সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, শঙ্কায় কৃষকরা
- আপডেট টাইম : ০২:৩২:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
- / ৩২০ ৫০০০.০ বার পাঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক।
বরগুনার পাথরঘাটায় খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন কাটাখালী বাজার সংলগ্ন খালের ওপর ব্রিজ ও কালভার্টের অংশ দখল করে স্থাপনা করছেন প্রভাবশালী ওই অধ্যক্ষ।
খাল দখলের ফলে শত শত একর জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবি কৃষকদের।
অভিযুক্ত এনামুল হক জব্বার (৭০) পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন কাটাখালী এলাকার বাসিন্দা।
তিনি পাথরঘাটা মাজহার উদ্দিন টেকনিক্যাল বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, শুধু খাল দখলই নয় প্রভাব দেখিয়ে সাধারণ মানুষের জমিজমা মিথ্যা দলিলপত্র তৈরি করে দখল করারও অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ ও তার বিরুদ্ধে।
এসব নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, খালটি নিজেদের দাবি করে খালের মধ্যে পাকা স্থাপনা করেছেন অধ্যক্ষ এনামুল হক। খালের পানি চলাচলের গতিপথ নষ্ট করে রাতে অতিরিক্ত লোক নিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এনামুল হক ও তার সহযোগীরা।
আ. লতিফ, জসিম, হায়দার আলী ও শিরীনসহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, তার হুমকি ও দাপটে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না। আমরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পাথরঘাটা সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, যেভাবে সারাদেশে নদী-খাল দখল বা ভরাট হচ্ছে তাতে একটা সময় অস্তিত্ব থাকবেনা।
এখনই এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। তা না হলে একটার পর আরেকটা বড় সমস্যা আসবে, আর তাৎক্ষণিক সমাধানে সবাই উঠে পড়ে লাগবে। এই রীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে নদী-খাল দস্যুদের তালিকা করে চিহ্নিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষ এনামুল হক জব্বার বলেন, আদালতে মামলা চললেও ওই জমি আমাদেরই। আর দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ খালের স্থাপনা করতে পারলে আমি কেন পারবো না!
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার দৈনিক সময়ের কন্ঠকে জানান, আদালতের নোটিশ পেয়েও কাজ চালিয়ে যাওয়া ও হুমকি ধামকি দেওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।