ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

নাহিদকে ‘কুপিয়েছে’ রাজধানী ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন

স্টাফ রিপোর্টার।।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন।

নাহিদকে কোপানোর যে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেই ছবিটি ইমনের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইমন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। সে কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ছাত্র।

ঘটনার দিন ইমন তার বাম হাতের ওপরের অংশে ও পায়ে ইটের আঘাতে আহত হন।

ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইমনের বাম হাত ছিল কাপড় দিয়ে বাঁধা। ইমনের সঙ্গে ভিডিওর ওই যুবকের চেহারার মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

গোয়েন্দারা জানায়, মামলা দায়েরের পর থেকে ইমন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিলেন। তার ফেসবুক আইডিও ডিঅ্যাক্টিভ রয়েছে।  কিন্তু ঘটনার দিন তার ফেসবুক আইডি সচল ছিল।

জানা গেছে, ইমন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ জুলফিকারের অনুসারী।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেদিন সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ মাঠে নেমেছিল। তাদের অনেকের কাছেই ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও রড। পরিচয় আড়াল করতে অধিকাংশের মাথায় ছিল হেলমেট।

এর মধ্যে একটি গ্রুপের অনুসারী বাংলা বিভাগের ছাত্র ইমন ছোরা দিয়ে নাহিদ মিয়াকে একাধিক আঘাত করেন। ইমনের মাথায় ছিল কালো হেলমেট, পরনে ছিল ধূসর টি-শার্ট।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইমন ছোরা দিয়ে আঘাত করলেও নাহিদকে প্রথম মারধর শুরু করেন কাইয়্যুম ও সুজন ইসলাম নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মী।

একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাইয়ুম নীল ও সাদা রঙের চেকের টি শার্ট পরা। সে নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করে। হেলমেট না থাকায় সহজেই কাইয়ুমকে চেনা যায়। আর সুজন ইসলাম নাহিদকে ইটের আঘাত ও লাথি মেরে আহত করে। পরে নাহিদকে কোপাতে থাকলে ইমনকে চড় মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দেন সুজন ইসলাম। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় ওই সময় চড় মেরে শাসন করতে পেরেছিল বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।

উল্লেখ্য, নিহত নাহিদ মিয়া এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান ছিলেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নাহিদকে ‘কুপিয়েছে’ রাজধানী ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন

আপডেট টাইম : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার।।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন।

নাহিদকে কোপানোর যে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেই ছবিটি ইমনের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইমন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। সে কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ছাত্র।

ঘটনার দিন ইমন তার বাম হাতের ওপরের অংশে ও পায়ে ইটের আঘাতে আহত হন।

ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইমনের বাম হাত ছিল কাপড় দিয়ে বাঁধা। ইমনের সঙ্গে ভিডিওর ওই যুবকের চেহারার মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

গোয়েন্দারা জানায়, মামলা দায়েরের পর থেকে ইমন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিলেন। তার ফেসবুক আইডিও ডিঅ্যাক্টিভ রয়েছে।  কিন্তু ঘটনার দিন তার ফেসবুক আইডি সচল ছিল।

জানা গেছে, ইমন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ জুলফিকারের অনুসারী।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেদিন সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ মাঠে নেমেছিল। তাদের অনেকের কাছেই ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও রড। পরিচয় আড়াল করতে অধিকাংশের মাথায় ছিল হেলমেট।

এর মধ্যে একটি গ্রুপের অনুসারী বাংলা বিভাগের ছাত্র ইমন ছোরা দিয়ে নাহিদ মিয়াকে একাধিক আঘাত করেন। ইমনের মাথায় ছিল কালো হেলমেট, পরনে ছিল ধূসর টি-শার্ট।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইমন ছোরা দিয়ে আঘাত করলেও নাহিদকে প্রথম মারধর শুরু করেন কাইয়্যুম ও সুজন ইসলাম নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মী।

একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাইয়ুম নীল ও সাদা রঙের চেকের টি শার্ট পরা। সে নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করে। হেলমেট না থাকায় সহজেই কাইয়ুমকে চেনা যায়। আর সুজন ইসলাম নাহিদকে ইটের আঘাত ও লাথি মেরে আহত করে। পরে নাহিদকে কোপাতে থাকলে ইমনকে চড় মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দেন সুজন ইসলাম। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় ওই সময় চড় মেরে শাসন করতে পেরেছিল বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।

উল্লেখ্য, নিহত নাহিদ মিয়া এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান ছিলেন।