ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল’র বাক স্বাধীনতা হরণ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চামড়া শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সারাদেশে ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি’ গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটকের কারণ কী, যা বলছে ইসরাইল ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন

অপহরণ করে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
  • / ২২৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

জেলা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার আমতলীতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে ওই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ ৫ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী আমতলীতে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ল্যাব সহকারী পদে চাকুরী করার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে আমতলী পৌর শহরের সদর রোডের বাসিন্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে নয়া মিয়া তার বখাটে পুত্র মারুফ হোসেন জিসান ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জিসান নেশাগ্রস্থ ও বিবাহিত বলে ওই প্রস্তাবে ভিকটিম কিশোরী রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন ২১ নভেম্বর ভিকটিম তার কর্মস্থল থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা যোগে বাড়ীতে যাওয়ার সময় আমতলী চৌরাস্তায় মূল অভিযুক্ত অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ তার অন্য এক সহযোগী ওই গাড়ীতে উঠে ভিকটিমের নাকের সামনে চেতনা নাশক ঔষধযুক্ত রুমাল ধরে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

ঘটনার দিন মেয়ে বাড়ীতে না পৌছাইলে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে তাকে না পেয়ে আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ভিকটিমকে তাদের বাড়ীর কাছে রাস্তায় ফেলে আবুল হোসেন হাওলাদার নামক এক ব্যক্তিকে মুঠোফোনে জানায়। তিনি ভিকটিমের মাকে বিষয়টি জানালে তারা সেখানে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। মেয়ের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে গত ২০ ডিসেম্বর আমতলী থানায় এসে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। ভিকটিমের শারিরীক অবস্থা সংকটজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে ভর্তি করায়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে আজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়েছে।

ভিকটিম জানায়, বাখাটে মারুফ ওরফে জিসান আমাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন রিক্সাযোগে বাড়ী যাওয়ার পথে জিসান ও তার এক সহযোগীকে নিয়ে আমার রিক্সার গতিরোধ করে আমার নাকের সামনে একটি রুমাল ধরে আমাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে আটকে রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং শারিরীকভাবে নির্যাতন করে।

মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, যে আমার মেয়ের এতবড় সর্বনাশ করছে আমি তার বিচার চাই।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অপহরণ করে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

আপডেট টাইম : ০৬:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

জেলা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার আমতলীতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে ওই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ ৫ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী আমতলীতে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ল্যাব সহকারী পদে চাকুরী করার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে আমতলী পৌর শহরের সদর রোডের বাসিন্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে নয়া মিয়া তার বখাটে পুত্র মারুফ হোসেন জিসান ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জিসান নেশাগ্রস্থ ও বিবাহিত বলে ওই প্রস্তাবে ভিকটিম কিশোরী রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন ২১ নভেম্বর ভিকটিম তার কর্মস্থল থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা যোগে বাড়ীতে যাওয়ার সময় আমতলী চৌরাস্তায় মূল অভিযুক্ত অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ তার অন্য এক সহযোগী ওই গাড়ীতে উঠে ভিকটিমের নাকের সামনে চেতনা নাশক ঔষধযুক্ত রুমাল ধরে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

ঘটনার দিন মেয়ে বাড়ীতে না পৌছাইলে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে তাকে না পেয়ে আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ভিকটিমকে তাদের বাড়ীর কাছে রাস্তায় ফেলে আবুল হোসেন হাওলাদার নামক এক ব্যক্তিকে মুঠোফোনে জানায়। তিনি ভিকটিমের মাকে বিষয়টি জানালে তারা সেখানে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। মেয়ের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে গত ২০ ডিসেম্বর আমতলী থানায় এসে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। ভিকটিমের শারিরীক অবস্থা সংকটজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে ভর্তি করায়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে আজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়েছে।

ভিকটিম জানায়, বাখাটে মারুফ ওরফে জিসান আমাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন রিক্সাযোগে বাড়ী যাওয়ার পথে জিসান ও তার এক সহযোগীকে নিয়ে আমার রিক্সার গতিরোধ করে আমার নাকের সামনে একটি রুমাল ধরে আমাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে আটকে রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং শারিরীকভাবে নির্যাতন করে।

মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, যে আমার মেয়ের এতবড় সর্বনাশ করছে আমি তার বিচার চাই।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে