ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

ডিসিরা জানেন, কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে: দুদক চেয়ারম্যান

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৫:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২
  • / ২২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একজন ডিসি জানেন, তার অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে। এজন্য আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সব সময় সাহায্য করেন।… কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে এটা কিন্তু জেলা প্রশাসকরা জানেন। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।’

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকালের অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশনের একটি কাজ হল সচেতনতা বৃদ্ধি। দুর্নীতি যেন না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দূরে থাকে, সেটা দেখাও দুদকের কাজ।’

ডিসিদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘দুদকের আরেকটি কাজ হলো গণশুনানি।  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধরণও বদলায়। কোথাও গণশুনানি করা হলে দুর্নীতির নতুন ধরণগুলোও জানা যায়। অবশ্য মহামারির কারণে এখন তা সীমিত আছে। ডিসিদের বলেছি, তারাও যেন গণশুনানি করেন। আমরাও করব। কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হচ্ছে এবং কীভাবে- তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।’

দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দুদকপ্রধান বলেন, ‘আমাদের একটি সমস্যা হলো তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটার কারণে হয়ত অনেক অভিযোগ থাকলেও সমাধানে সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। এটা আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয়, আমরা চেষ্টা করছি।

তার ভাষ্য, ‘দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটা না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউ তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে, তাদেরকেও আমরা জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিসিরা জানেন, কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে: দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৭:১৫:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একজন ডিসি জানেন, তার অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে। এজন্য আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সব সময় সাহায্য করেন।… কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে এটা কিন্তু জেলা প্রশাসকরা জানেন। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।’

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকালের অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশনের একটি কাজ হল সচেতনতা বৃদ্ধি। দুর্নীতি যেন না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দূরে থাকে, সেটা দেখাও দুদকের কাজ।’

ডিসিদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘দুদকের আরেকটি কাজ হলো গণশুনানি।  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধরণও বদলায়। কোথাও গণশুনানি করা হলে দুর্নীতির নতুন ধরণগুলোও জানা যায়। অবশ্য মহামারির কারণে এখন তা সীমিত আছে। ডিসিদের বলেছি, তারাও যেন গণশুনানি করেন। আমরাও করব। কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হচ্ছে এবং কীভাবে- তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।’

দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দুদকপ্রধান বলেন, ‘আমাদের একটি সমস্যা হলো তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটার কারণে হয়ত অনেক অভিযোগ থাকলেও সমাধানে সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। এটা আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয়, আমরা চেষ্টা করছি।

তার ভাষ্য, ‘দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটা না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউ তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে, তাদেরকেও আমরা জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’