ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

অনশনের ৩২ ঘণ্টা পার, শাবির ৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক

শিক্ষা রিপোর্টে।।

কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বাজছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। এক এক করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। অসুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ছয় শিক্ষার্থীকে।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। অনশনে বসার ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন ভাঙেননি কোনো শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ছয় শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় সেসব হাসপাতালে।

জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে এক এবং মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে এবং ১২জন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

অনশনরত শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিশাতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে যাবো না, আমি তো বলেই এলাম আমরণ অনশন করতে এসেছি। হাসপাতালে কেন যাবো? আন্দোলনে এসেছি না?

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদের অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছি। তারা ৩০ ঘণ্টার ওপর কেউ কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের এখানেই স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বিকাল ৫টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অনশনের ৩২ ঘণ্টা পার, শাবির ৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

শিক্ষা রিপোর্টে।।

কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বাজছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। এক এক করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। অসুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ছয় শিক্ষার্থীকে।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। অনশনে বসার ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন ভাঙেননি কোনো শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ছয় শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় সেসব হাসপাতালে।

জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে এক এবং মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে এবং ১২জন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

অনশনরত শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিশাতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে যাবো না, আমি তো বলেই এলাম আমরণ অনশন করতে এসেছি। হাসপাতালে কেন যাবো? আন্দোলনে এসেছি না?

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদের অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছি। তারা ৩০ ঘণ্টার ওপর কেউ কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের এখানেই স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বিকাল ৫টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।