ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন

অভিনেত্রী শিমুর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন বাবা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২২
  • / ২৬৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ঢাকায় খুন হওয়া বরগুনার আমতলীর মেয়ে আলোচিত অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর পিতা সাবেক ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী মোবাইল ফোনে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন আমার আদরের মেয়ে শিমুকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি ফাঁসি চাই।

শিমু হত্যার খবর আমতলীতে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী শিমুর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি করেন।

ঢাকাই ছবির অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। তার নানা বাড়ি একই উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে।

১৯৯৫ সালে শিমুর পিতা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী দুই পুত্র হারুন অর রশিদ ও সাইদুল ইসলাম খোকন এবং দুই কন্যা রাইমা ইসলাম শিমু ও ফাতেমাকে নিয়ে আমতলী পৌর শহরের ফেরিঘাটের সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। শিমু তখন আমতলী এমইউ বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রী। ছোট বেলা থেকেই শিমু সাংস্কৃতিক মনা ছিল। অভিনয়, নাচ ও গানের প্রতি ছিল তার অনেক ঝোঁক। আমতলীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিমুর অভিনয়, নাচ ও গানের প্রশংসা ছিল তখন মানুষের মুখে মুখে।

পারিবারিক কারণে ১৯৯৬ সালে শিমুর মা রাশেদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সঙ্গে। তার হাত ধরেই ১৯৯৮ সালে চিত্র জগতে প্রবেশের পর রূপালী পর্দার বদৌলতে শিমুর নাম হয়ে যায় রাইমা ইসলাম শিমু। একের পর এক বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের পর শিমুর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমতলীসহ সারা দেশে।

অপরদিকে শিমুর মা এবং তাদের সন্তানরা ঢাকা চলে গেলেও পারিবারিক কারণে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী নিজ গ্রাম আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাড়ীতে থেকে যান। পরবর্তীতে তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে তিনি একই ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে বসবাস করা শুরু করেন। ওই গ্রাম থেকেই তিনি একবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গত সোমবার রাত ১০টায় ছেলেদের ফোন এবং টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুনের ঘটনা। ওই রাতেই তিনি আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোন যানবাহন না পেয়ে পরের দিন (মঙ্গলবার) খুব সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

বুধবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কথা হলে। তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মাইয়াডারে অনেক আদর স্নেহ দিয়ে বড় করেছি, হেই মাইয়াডারে ওরা মাইর্যাা ফালাইছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মাইয়াডারে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

এদিকে আলোচিত চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই আমতলীর শহরের অলিগলি ও গ্রাম- গঞ্জের হাট- বাজারে চলছে শোক আর আফসোস। স্থানীয় মুদি দোকান থেকে শুরু পান দোকান পর্যন্ত সবারই একটাই প্রশ্ন কি এমন ঘটনা ঘটলো যে আমতলীর কৃতি সন্তান শিমুকে নারকীয়ভাবে খুন করে লাশ টুকরো করে তা বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলতে হবে। তারা শিমু হত্যায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের কারণে চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর স্বামী নোবেল তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে দায় শিকার করেছেন বলে পুলিশ প্রেস বিফিং করে জানিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অভিনেত্রী শিমুর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন বাবা

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ঢাকায় খুন হওয়া বরগুনার আমতলীর মেয়ে আলোচিত অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর পিতা সাবেক ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী মোবাইল ফোনে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন আমার আদরের মেয়ে শিমুকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি ফাঁসি চাই।

শিমু হত্যার খবর আমতলীতে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী শিমুর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি করেন।

ঢাকাই ছবির অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। তার নানা বাড়ি একই উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে।

১৯৯৫ সালে শিমুর পিতা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী দুই পুত্র হারুন অর রশিদ ও সাইদুল ইসলাম খোকন এবং দুই কন্যা রাইমা ইসলাম শিমু ও ফাতেমাকে নিয়ে আমতলী পৌর শহরের ফেরিঘাটের সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। শিমু তখন আমতলী এমইউ বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রী। ছোট বেলা থেকেই শিমু সাংস্কৃতিক মনা ছিল। অভিনয়, নাচ ও গানের প্রতি ছিল তার অনেক ঝোঁক। আমতলীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিমুর অভিনয়, নাচ ও গানের প্রশংসা ছিল তখন মানুষের মুখে মুখে।

পারিবারিক কারণে ১৯৯৬ সালে শিমুর মা রাশেদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সঙ্গে। তার হাত ধরেই ১৯৯৮ সালে চিত্র জগতে প্রবেশের পর রূপালী পর্দার বদৌলতে শিমুর নাম হয়ে যায় রাইমা ইসলাম শিমু। একের পর এক বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের পর শিমুর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমতলীসহ সারা দেশে।

অপরদিকে শিমুর মা এবং তাদের সন্তানরা ঢাকা চলে গেলেও পারিবারিক কারণে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী নিজ গ্রাম আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাড়ীতে থেকে যান। পরবর্তীতে তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে তিনি একই ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে বসবাস করা শুরু করেন। ওই গ্রাম থেকেই তিনি একবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গত সোমবার রাত ১০টায় ছেলেদের ফোন এবং টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুনের ঘটনা। ওই রাতেই তিনি আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোন যানবাহন না পেয়ে পরের দিন (মঙ্গলবার) খুব সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

বুধবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কথা হলে। তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মাইয়াডারে অনেক আদর স্নেহ দিয়ে বড় করেছি, হেই মাইয়াডারে ওরা মাইর্যাা ফালাইছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মাইয়াডারে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

এদিকে আলোচিত চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই আমতলীর শহরের অলিগলি ও গ্রাম- গঞ্জের হাট- বাজারে চলছে শোক আর আফসোস। স্থানীয় মুদি দোকান থেকে শুরু পান দোকান পর্যন্ত সবারই একটাই প্রশ্ন কি এমন ঘটনা ঘটলো যে আমতলীর কৃতি সন্তান শিমুকে নারকীয়ভাবে খুন করে লাশ টুকরো করে তা বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলতে হবে। তারা শিমু হত্যায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের কারণে চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর স্বামী নোবেল তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে দায় শিকার করেছেন বলে পুলিশ প্রেস বিফিং করে জানিয়েছে।