ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

রাজশাহী বাঘার বাউসা ইউনিয়নে আ’লীগের পরাজয়ের কারণ কি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৪:০০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাঘা রাজশাহী প্রতিনিধি।।
,বাঘা  রাজশাহীর বাঘায় তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আ’লীগের পরাজয় হয়েছে।এই পরাজয়ের কারণ হিসাবে তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত কতিপয় নেতাকে দায়ি করেছেন। তাদের অভিযোগ, যারা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অনেকেই নৌকায় ভোট দেননি। তারা ভোট দিয়েছেন একই দলের বিদ্রোহীকে। তাই এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী ও চলমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের নিকটতম কর্মীরা জানান, এই ইউনিয়নে যারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যার্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই দিনের আলোয় দলীয় প্রার্থীর জন্য গান গাইলেও রাতের আধারে তারা অর্থের কাছে জিম্মি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এসব কথা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর একাধিক কর্মীদের মুখ থেকে আগুনের ফুলকির মতো বেরিয়ে আসছে।

এদিকে নির্বাচনের পূর্বে এই ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ ছুড়ে বলে ছিলেন ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ আলী মলিন, নুর মোহাম্মদ তুফানের প্রতিবেশী হওয়ায় তিনি ও তার লোকজন আ’লীগ বিদ্রোহীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন। ফলে নানা কারনেই সেখানে বিদ্রোহীর পাল্লা ভারি ছিলো।

বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন জোনান, এবার কেন্দ্রীয় ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষনা থাকায় আমরা উপজেলা এবং পৌর বিএনপির কোন নেতা-কর্মী ইউনিয়নে ভোট করতে যাইনি। তবে গত নির্বাচনে বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী মলিনের বিপক্ষে আনোয়ার হোসেন পলাশ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি পরাজিত হন। আর সেখানে নির্বাচিত হন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক। এ কারেনে এবার আশরাফ আলী মলিন নিজে ভোট না চাইলেও তার কিছু লোকজন আ’লীগের বিদ্রোহীকে ভোট দিয়েছে এমনটি শুনেছি।

সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমি পরাজিত হবো এটা স্বপ্নেও ভাবিনি । আমাকে পরাজিত করেছেন দলের স্বার্থনেশী কিছু মানুষ ।তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছি, অর্থ এবং ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে নীতি-নৈতিকতা ও মানবতা পরাজিত। এ জন্য তাদের পস্তাতে হবে ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী বাঘার বাউসা ইউনিয়নে আ’লীগের পরাজয়ের কারণ কি

আপডেট টাইম : ০২:৩৪:০০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

বাঘা রাজশাহী প্রতিনিধি।।
,বাঘা  রাজশাহীর বাঘায় তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আ’লীগের পরাজয় হয়েছে।এই পরাজয়ের কারণ হিসাবে তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত কতিপয় নেতাকে দায়ি করেছেন। তাদের অভিযোগ, যারা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অনেকেই নৌকায় ভোট দেননি। তারা ভোট দিয়েছেন একই দলের বিদ্রোহীকে। তাই এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী ও চলমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের নিকটতম কর্মীরা জানান, এই ইউনিয়নে যারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যার্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই দিনের আলোয় দলীয় প্রার্থীর জন্য গান গাইলেও রাতের আধারে তারা অর্থের কাছে জিম্মি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এসব কথা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর একাধিক কর্মীদের মুখ থেকে আগুনের ফুলকির মতো বেরিয়ে আসছে।

এদিকে নির্বাচনের পূর্বে এই ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ ছুড়ে বলে ছিলেন ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ আলী মলিন, নুর মোহাম্মদ তুফানের প্রতিবেশী হওয়ায় তিনি ও তার লোকজন আ’লীগ বিদ্রোহীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন। ফলে নানা কারনেই সেখানে বিদ্রোহীর পাল্লা ভারি ছিলো।

বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন জোনান, এবার কেন্দ্রীয় ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষনা থাকায় আমরা উপজেলা এবং পৌর বিএনপির কোন নেতা-কর্মী ইউনিয়নে ভোট করতে যাইনি। তবে গত নির্বাচনে বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী মলিনের বিপক্ষে আনোয়ার হোসেন পলাশ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি পরাজিত হন। আর সেখানে নির্বাচিত হন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক। এ কারেনে এবার আশরাফ আলী মলিন নিজে ভোট না চাইলেও তার কিছু লোকজন আ’লীগের বিদ্রোহীকে ভোট দিয়েছে এমনটি শুনেছি।

সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমি পরাজিত হবো এটা স্বপ্নেও ভাবিনি । আমাকে পরাজিত করেছেন দলের স্বার্থনেশী কিছু মানুষ ।তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছি, অর্থ এবং ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে নীতি-নৈতিকতা ও মানবতা পরাজিত। এ জন্য তাদের পস্তাতে হবে ।