ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

জগন্নাথপুরে শিক্ষকের শারীরিক নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এলাকায় ক্ষোভ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩০:৩৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩২৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতন, ক্ষমতার অপব্যবহার, অশালিন আচরণ সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের রানা মিয়ার ছেলে কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিফজুর রহমানকে প্রাইভেট না পড়ায় গত ২২ নভেম্বর ক্লাস রোমে বেত দিয়ে আঘাত করে শারীরিক নির্যাতন করেন মাদ্রাসা শিক্ষক নিজাম উদ্দিন। তার পাশবিক ও শারিরীক নির্যাতনের বিষয়ে জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় তার পিতা রানা মিয়া গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যপারে ছাত্র হিফজুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন আমি কৃষক পরিবারের ছেলে । স্যার (নিজাম উদ্দিন) আমাকে গণিত পড়ার জন্য চাপসৃষ্টি করেন। প্রাইভেট পড়ার ক্ষমতা আমার নেই বললে তিনি আমাকে বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত করেন। তিনির নিকট শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে অনেকেই প্রাইভেট পড়েন। তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছেন। তার কারণে অনেকের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত।
দুস্তপুর গ্রামের আরেক শিক্ষার্থী শিহাবুর রহমান একই অভিযোগ করে বলেন তিনি আমার স্যার কিন্তু উনি যা করেন তা বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদ্রাসায় অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছেন। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে মার্ক কম দেয়ার হুমকি দেন, আবার মার্ক বাড়িয়ে দেয়ার নামে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তার এহেন কর্মকান্ডের কারণে অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে গেছে।
এদিকে অফিস সহায়ক থেকে গণিতের শিক্ষক হওয়া নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী, মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নানা অভিযোগ তুলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে মুখলেছুর রহমান বলেন একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (স্যার) বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাকে বলা হয়েছে । তদন্ত ও পর্যালোচনাক্রমে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা নির্বাহী কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা আমাদের কেউ জানায়নি। শুনেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক অবশ্যই তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পাইবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন আমার কিছু বলার নেই। আমি কি বলবো, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে ঠিক, তবে সবগুলো সঠিক নয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জগন্নাথপুরে শিক্ষকের শারীরিক নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এলাকায় ক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০২:৩০:৩৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতন, ক্ষমতার অপব্যবহার, অশালিন আচরণ সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের রানা মিয়ার ছেলে কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিফজুর রহমানকে প্রাইভেট না পড়ায় গত ২২ নভেম্বর ক্লাস রোমে বেত দিয়ে আঘাত করে শারীরিক নির্যাতন করেন মাদ্রাসা শিক্ষক নিজাম উদ্দিন। তার পাশবিক ও শারিরীক নির্যাতনের বিষয়ে জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় তার পিতা রানা মিয়া গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যপারে ছাত্র হিফজুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন আমি কৃষক পরিবারের ছেলে । স্যার (নিজাম উদ্দিন) আমাকে গণিত পড়ার জন্য চাপসৃষ্টি করেন। প্রাইভেট পড়ার ক্ষমতা আমার নেই বললে তিনি আমাকে বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত করেন। তিনির নিকট শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে অনেকেই প্রাইভেট পড়েন। তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছেন। তার কারণে অনেকের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত।
দুস্তপুর গ্রামের আরেক শিক্ষার্থী শিহাবুর রহমান একই অভিযোগ করে বলেন তিনি আমার স্যার কিন্তু উনি যা করেন তা বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদ্রাসায় অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছেন। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে মার্ক কম দেয়ার হুমকি দেন, আবার মার্ক বাড়িয়ে দেয়ার নামে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তার এহেন কর্মকান্ডের কারণে অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে গেছে।
এদিকে অফিস সহায়ক থেকে গণিতের শিক্ষক হওয়া নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী, মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নানা অভিযোগ তুলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে মুখলেছুর রহমান বলেন একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (স্যার) বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাকে বলা হয়েছে । তদন্ত ও পর্যালোচনাক্রমে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
কুবাজপুর শাহজালাল (রঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা নির্বাহী কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা আমাদের কেউ জানায়নি। শুনেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক অবশ্যই তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পাইবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন আমার কিছু বলার নেই। আমি কি বলবো, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে ঠিক, তবে সবগুলো সঠিক নয়।