ভূমি দস্যদের ছবি।সময়েরকন্ঠ
হবিগঞ্জ বাহুবল থানাধীন ৩৪ নং ওয়ার্ডে এক অসহায় পরিবারের জায়গা জমি জবর দখলের পায়তারা করছে ইনল্যান্ড প্রবাসী খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী কাজী গোলাম মুকিত (৫৭) গত ২৩ শে জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে বাহুবল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।যাহার ডায়েরি নং-১০৫২। ভুক্তভোগী বাহুবল থানাধীন ৪নং বাহুবল সদর ইউপিনয়নের অন্তর্গত বাহুবল বাজার এর স্থায়ী বাসিন্দা। ভুক্তভোগী বলেন আমার জায়গা জমি নিয়ে আমার চাচাতো ভাই খলিলুর রহমান কাজী এর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা ও মনোমালিন্য চলছে। উক্ত খলিলুর রহমান ইংল্যান্ড বসবাস করে। মাঝে মাঝে দেশে আসিয়া তার নানার বাড়ী বাহুবলছ হামিদনগর অবস্থান করে তার লোকজনদেরক নিয়ে আমার জায়গা জমি দখল করার পায়তারা করিতেছে। যে জায়গা জমি দখল করার পায়তারা করে সেই জমির বিষয়টি নিয়ে মাননীয় হাইকোর্টে মামলা চলমান আছে। যাহার রীট পিটিশন নং-৫৭৬৫/২০২৩ খ্রি. মাননীয় হাইকোর্টে রীট পিটিশন থাকা সত্ত্বেও খলিলুর রহমান কাজী ইংল্যান্ডে বসবাস করে সেখান থেকে আমার জায়গা দখলের জন্য মো: ফরিদ মিয়া, পিতামৃত-আরশাদ আলী টেইলার্স, বাহুবল বাজার, বাহুবল, হবিগঞ্জ, ও রিপন তালুকদার, পিতা-সাহিদ তালুকদার, সর্বসাং-সাতপাড়িয়া, সর্বথানা-বাহুবল, জেলা-হবিগঞ্জ। তার লোকজন নিয়ে আমার খরিদা জায়গা জমি যে কোন সময় দখল করিতে পারে এবং আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করিতেছে। গত ১৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা তাহাদের লোকজন নিয়া আমার মৌরশী সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার উদ্দ্যেগ নিলে ঘটনা দেখিয়া আমি সহ আমার পরিবারের অন্যান্য লোকজন বিবাদীদেরকে বাঁধা দিলে বিবাদীরা আমাকে গালিগালাজ করা সহ মারপিট করার জন্য উদ্ধাত হয়। আমি বাহুবল বাজারে সচরাচর চলাফেরা করিতে ভয় পাইতেছি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। তাহা ছাড়া বাহুবল বাজারে আমার ভাড়াটিয়া দোকান মালিকদেরকে জোর করে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে বর্ণিত ব্যক্তিগণ ও দলবল নিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। সন্ত্রাস বাহিনী ও ভূমি দস্যুরা যে কোন সময় বাহুবল বাজারে অঘটন ঘটাইতে পারে। অবৈধ ভাবে আমার দোকান উচ্ছেদ ও কোন অঘটন ঘটলে উক্ত খলিলুর রহমান কাজী ও তার দলবল দায়ী থাকবে। ইলার্স, বাহুবল বাজার, বাহুবল, হবিগঞ্জ, ও রিপন তালুকদার, পিতা-সাহিদ তালুকদার, সর্ব সাং-সাতপাড়িয়া, সর্ব থানা-বাহুবল, জেলা-হবিগঞ্জ। বিবাদীরা বাহুবল বাজারে অঘটন ঘটাইতে পারে। অবৈধ ভাবে আমার দোকান উচ্ছেদ ও কোন অঘটন ঘটলে উক্ত খলিলুর রহমান কাজী ও তার দলবল দায়ী থাকবে।
এ বিষয়ে বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোন কথা হল তিনি বলেন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দোগাছি মেজর সাখাওয়াত কৃষিফার্মে ১৪৪ ধারা বহালে এবার ডিসি’র আদেশ
বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি মৌজায় অবস্থিত আলোচিত সাবেক মেজর মরহুম সাখাওয়াত আলীর কৃষিফার্মে (মেজরের ফার্ম) ওই এলাকার অভিযুক্ত ভূমি দখলদারদের দৌরাত্ম্যের কারণে এবার ১৪৪ ধারা জারি পুণর্বহালের আদেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।
চলতি মাসের ৯ জুলাই এ আদেশ জারি সহ আদেশ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার দেবনাথ ও অফিসার ইনচার্জ শওকত আলী সরকারকে লিখিত অবহিত এবং ব্যাপক প্রচারণার জন্য জেলা তথ্য অফিসকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
এর আগে গত ৩১/১০/২৪ ইং তারিখে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার দেবনাথ ওই ফার্মের বিরোধপুর্ণ ৪৭টি দাগে ৩২.৪৮ শতক জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তা অমান্য করে, সেই জমিতে জোরপূর্বক চাষাবাদ শুরু করলে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদেশ পুনর্বহালসহ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এ নির্দেশনা প্রদান করেন ঠাকুরগাঁও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
গণ বিজ্ঞপ্তি চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন,ফার্মের নিয়োগকৃত কেয়ার টেকার আতিকুর রহমান অভিযোগ করেন, বিরোধপুর্ন জমিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিবাদীপক্ষ চাষাবাদ শুরু করেছেন-যা ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর জারীকৃত ১৪৪ ধারা পরিপন্থী। এমতাবস্থায় বর্ণিত বিরোধপুর্ণ জমিতে জারিকৃত ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা আদেশ বহাল, আদেশ ভঙ্গকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে মেজরের ফার্মের ম্যানেজার অভিযোগকারী আতিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা ৪৭টি দাগে ৩২ একর ৪৮ শতক জমির বৈধ মালিক হওয়া সত্ত্বেও বিবাদীরা একটি কুচক্রী মহলের ফাঁদে পড়ে আমাদের বিরুদ্ধে একে একে ৩১টি মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা এবং বিভিন্ন দপ্তরে ২০ থেকে ২৫ টি অভিযোগ করেন কিন্তু এতে করে তাদের কোন শুভফল হয়নি। আমরা সব মামলাতে রায় নিজের দিকে পেলেও কুচক্রী মহলের ফাঁদে পড়ে তারা নিত্য নতুন মামলা দিতে থাকে ও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ডিসি স্যার নতুন করে আদেশ দিলেও তথ্য অফিস থেকে প্রচারনা ছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের কোন তৎপরতা চোখে পড়ছে না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এ অরাজকতা থেকে মুক্তি চাই এবং পূর্বের মতো নিষ্কণ্টকভাবে কৃষি ফার্ম সবুজ শস্যের ফসলে ভরে উঠ।
প্রিন্ট