সংবাদ শিরোনাম ::
রেলের বুকিং সহকারীকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার- ১, বরখাস্ত-২
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ১০:৪০:৫১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
- / ২৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটে রেলের এক বুকিং সহকারীর বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলেহাজতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কাউনিয়া রেল স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, লালমনিরহাট রেল বিভাগের অধীনে কাউনিয়া রেল স্টেশনের বুকিং সহকারী মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। তা ছাড়াও মামুনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় আরও একটি বিভাগীয় মামলা করার প্রস্তুতি নেয়েছে ৱেল কর্তৃপক্ষ।
রেলের একটি সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট থেকে ০১ অক্টোবর পর্যন্ত রেলওয়ের টিকিট বিক্রির আয়ের ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে মামুন আর্ত্মসাত করেন। বিষয়টি প্রকাশ হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রেল কর্তৃপক্ষ তাকে টাকা ফেরত দিতে বলেন। এ সময় টাকা আত্মসাতের বিষয়টি শিকার করে তা ফেরত দেয়ার জন্য সময় চেয়ে মুচলেকা দেন মামুন।
তবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মামুনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় ৪ অক্টোবর সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সহির উদ্দিন। ফলে রেলওয়ে থানা পুলিশ মামুনকে আটক করে পর দিন ৫ অক্টোবর পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী জাকির হোসেন বলেন, ‘মালামাল পরিবহন ও টিকিট বিক্রির টাকা একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে রেলওয়ের নির্দিষ্ট ট্রেনে পশ্চিমাঞ্চল জোনের পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিসে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে, কিন্তু মামুন এসবের কিছুই করেননি।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহারুল ইসলাম জানান, রেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করার পর সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটি দুদকে হস্তান্তরের জন্যও আবেদন করা হয়েছে। এ কারণে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি দুদক তদন্ত করবে।
লালমনিরহাট রেল বিভাগের ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে নিশ্চিত হই মামুন টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। পরে ২০ লাখ টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও ওই টাকা সে জমা দিতে ব্যর্থ হয়। এরপর গত ৪ অক্টোবর দুপুরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, কাউনিয়া রেল স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদের গাফেলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক মামুনের বাড়ি কুড়িগ্রামের চর বজরা গ্রামে।
আরো খবর.......