ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

সেই তিন ছাত্রী ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘুরছিলেন, গিয়েছিলেন কক্সবাজার

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও শিক্ষাসনদ নিয়ে উধাও হওয়া রাজধানীর পল্লবীর কলেজপড়ুয়া সেই তিন বান্ধবীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে বুধবার ভোরে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রী হলেন কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা সবাই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ দুয়ারিপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী।

বুধবার বিকালে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান যুগান্তরকে বলেন, তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। তারা বর্তমানে র‌্যাব- ৪-এর অফিসে রয়েছে। সেখান থেকে তাদের থানায় আনা হবে।

র‌্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়েন এই তিন ছাত্রী। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছিলেন। তারা কক্সবাজারও গিয়েছিলেন।

র‌্যাব ৪-এর উপঅধিনায়ক মেজর রবি খান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছিলাম। তাদের (তিন ছাত্রী) অবস্থান শনাক্ত করার পর র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজারে যায়। সেখানে র‌্যাব সদস্যরা তাদের (তিন ছাত্রী) অনুসরণ করে। গতকাল (মঙ্গলবার) তারা কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে আমাদের সদস্যরাও তাদের অনুসরণ করে ঢাকায় আসেন। মিরপুরে প্রবেশ করার সময় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একযোগে বের হন। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে যায়।

নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার দাবি করেছিল— বিদেশে নেওয়ার প্রলোভনে তাদের নিয়ে গেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। এ জন্য তারা বাসা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে।

এ ঘটনায় নিসার মা মাহমুদা আক্তার পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর এক তরুণীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দুজন সহদোর। এ ছাড়া তাদের মধ্যে এক তরুণীও রয়েছেন।

গ্রেফতার দুই ভাই হলেন— তরিকুল্লাহ (১৯)ও তার বড়ভাই রকিবুল্লাহ (২০)। বাকি দুজনের বয়স ১৮ বছর।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সেই তিন ছাত্রী ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘুরছিলেন, গিয়েছিলেন কক্সবাজার

আপডেট টাইম : ১১:৩১:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও শিক্ষাসনদ নিয়ে উধাও হওয়া রাজধানীর পল্লবীর কলেজপড়ুয়া সেই তিন বান্ধবীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে বুধবার ভোরে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রী হলেন কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা সবাই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ দুয়ারিপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী।

বুধবার বিকালে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান যুগান্তরকে বলেন, তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। তারা বর্তমানে র‌্যাব- ৪-এর অফিসে রয়েছে। সেখান থেকে তাদের থানায় আনা হবে।

র‌্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়েন এই তিন ছাত্রী। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছিলেন। তারা কক্সবাজারও গিয়েছিলেন।

র‌্যাব ৪-এর উপঅধিনায়ক মেজর রবি খান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছিলাম। তাদের (তিন ছাত্রী) অবস্থান শনাক্ত করার পর র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজারে যায়। সেখানে র‌্যাব সদস্যরা তাদের (তিন ছাত্রী) অনুসরণ করে। গতকাল (মঙ্গলবার) তারা কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে আমাদের সদস্যরাও তাদের অনুসরণ করে ঢাকায় আসেন। মিরপুরে প্রবেশ করার সময় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একযোগে বের হন। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে যায়।

নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার দাবি করেছিল— বিদেশে নেওয়ার প্রলোভনে তাদের নিয়ে গেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। এ জন্য তারা বাসা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে।

এ ঘটনায় নিসার মা মাহমুদা আক্তার পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর এক তরুণীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দুজন সহদোর। এ ছাড়া তাদের মধ্যে এক তরুণীও রয়েছেন।

গ্রেফতার দুই ভাই হলেন— তরিকুল্লাহ (১৯)ও তার বড়ভাই রকিবুল্লাহ (২০)। বাকি দুজনের বয়স ১৮ বছর।