স্কুলের টয়লেটে আটকা প্রতিবন্ধী ছাত্রী, ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার
- আপডেট টাইম : ০৪:৪০:১৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৩০ ৫০০০.০ বার পাঠক
চাঁদ পুর প্রতিনিধি।।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ছুটির প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে বাক্প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে হাত দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীকে বের করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হোসেনপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় কারও দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কি না, তা তদন্ত করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাক্প্রতিবন্ধী ওই ছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির কিছুক্ষণ আগে সে টয়লেটে যায়। এর মধ্যে ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠলে সব শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। এরপর স্কুলের আয়া টয়লেটে তালা লাগিয়ে দেন। এতে সে টয়লেটে আটকে যায়।
পরে শিক্ষার্থী বাড়িতে না আসায় তার বাবা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এমনকি সহপাঠীদের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে তার মা–ও মেয়ের নিখোঁজের খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরে বাড়িতে চলে আসেন। এদিকে রাত ১০টায় আল আমিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় টয়লেটের ভেন্টিলেটরে কারও হাত দেখতে পান। তিনি বিষয়টি সবাইকে অবহিত করেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী স্কুলে প্রবেশ করে টয়লেটের তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
বিজ্ঞাপন
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১২টায়। তবে দাপ্তরিক কাজ থাকায় তিনি শিক্ষকদের নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় স্কুল ত্যাগ করেন। কিন্তু তিনি এ রকম কোনো কিছু আঁচ করতে পারেননি।
মেয়ের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের বইপুস্তক শ্রেণিকক্ষে ছিল। কোনো প্রকার না দেখেই স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েকে আটকে রাখে।’
স্কুলের আয়া শাহানারা বলছেন, বিদ্যালয় সাড়ে ১২টায় ছুটির পর তিনি বিকেল চারটায় টয়লেটে তালা লাগিয়ে দেন।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবেন। স্কুলের কারও কোনো অবহেলা আছে কি না, তা দেখা হবে।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।