ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জরুরী বিজ্ঞপ্তি মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বরিশালে দুই মাস পর খুলে দেওয়া হলো খলিলের মাংসের দোকান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চোরাইকৃত মিশুকের যন্ত্রাংশ উদ্ধার,তিন গাড়ি চোর গ্রেফতার ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন জুতার দোকানের কর্মচারী রাস্তাতে ধরে মাদক মামলায় ফাসালেন পুলিশ অভিযোগ করেন ফরিদ এই মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ইঙ্গিত আবহাওয়া অফিসের রাজধানীর যেসব এলাকায় বসবে কুরবানির হাট এমপিদের চেয়ে এগিয়ে চেয়ারম্যানরা অবৈধ সম্পদ বেশি অপকর্ম ঢাকতে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল

ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নারী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২১:১০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০২১
  • ৩৫৯ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

পোশাক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক গৃহবধূ। শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ এই অভিযোগ করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস্ অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করতেন। চাকরিকালীন সময়ে ময়মনসিংহের ভালুকাস্থ পূর্বাশা টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি নতুন ফ্যাক্টরির জন্য তাদের কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। সেসময় ঐ কোম্পানির কর্ণধার আলী হোসেনের সঙ্গে করপোরেট গ্রাহক হিসেবে আমার পরিচয় হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বিকেলে আলী হোসেন তার ঢাকার উত্তরার অফিসে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দেবেন বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে এক পর্যায়ে তিনি অফিস কক্ষেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে তা ভিডিও ও ছবি ধারণ করে ভয়ভীতি দেখান এবং কাউকে ঘটনা বললে সন্তানসহ আমাকে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, লোকলজ্জা এবং সন্তানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। আলী হোসেন ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে জিম্মি করে ফেলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আলী হোসেন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লুবানা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটান। এসব ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগী বলেন, এক পর্যায়ে আত্মীয়স্বজনদের পরামর্শে গত ১৯ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর আলী হোসেন এবং তার লোকজন আমাকে এবং একমাত্র সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। পাশাপাশি মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করছে।

ঐ গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তিনি বর্তমানে ভয়ে সন্তানসহ নানা জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন। অপর দিকে, উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আলী হোসেন এবং তার লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। থানা পুলিশের কাছ থেকেও চার্জশিট প্রদানের ক্ষেত্রেও আশানুরূপ কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। আলী হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জরুরী বিজ্ঞপ্তি

ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নারী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৮:২১:১০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

পোশাক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক গৃহবধূ। শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ এই অভিযোগ করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস্ অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করতেন। চাকরিকালীন সময়ে ময়মনসিংহের ভালুকাস্থ পূর্বাশা টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি নতুন ফ্যাক্টরির জন্য তাদের কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। সেসময় ঐ কোম্পানির কর্ণধার আলী হোসেনের সঙ্গে করপোরেট গ্রাহক হিসেবে আমার পরিচয় হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বিকেলে আলী হোসেন তার ঢাকার উত্তরার অফিসে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দেবেন বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে এক পর্যায়ে তিনি অফিস কক্ষেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে তা ভিডিও ও ছবি ধারণ করে ভয়ভীতি দেখান এবং কাউকে ঘটনা বললে সন্তানসহ আমাকে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, লোকলজ্জা এবং সন্তানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। আলী হোসেন ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে জিম্মি করে ফেলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আলী হোসেন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লুবানা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটান। এসব ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগী বলেন, এক পর্যায়ে আত্মীয়স্বজনদের পরামর্শে গত ১৯ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর আলী হোসেন এবং তার লোকজন আমাকে এবং একমাত্র সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। পাশাপাশি মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করছে।

ঐ গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তিনি বর্তমানে ভয়ে সন্তানসহ নানা জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন। অপর দিকে, উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আলী হোসেন এবং তার লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। থানা পুলিশের কাছ থেকেও চার্জশিট প্রদানের ক্ষেত্রেও আশানুরূপ কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। আলী হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।