বয়স্ক, বিধবা,স্বামীপরিত্যাক্ত ভাতার আবেদন অনলাইনে হবার পর চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ভোট নেয়ার অকৌশল।
- আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:২৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১
- / ৪০১ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,
জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর।।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ঘোষিত, বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, পঙ্গুভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সরকার কতৃক সহায়তা প্রদান বিসয়ক সকল আবেদন এখন অনলাইনের মাধ্যমে সন্পাদন করা হচ্ছে। যার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার বা আর অন্য কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্টতা বা সম্পৃক্ততা নাই।
বয়স পরিপুর্ন ও পাওয়ার যৌগ ব্যক্তিকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবেদন করতে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বারের নিকট যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হবার পর দেশের কিছু কিছু লোভী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন যারা প্রতিনিধিত্ব চালাইতে গিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা জনসাধারণের নিকট বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে প্রচার করছে যে, অনলাইনে আবেদন করার পর ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারগন নির্ধারণ করে দিবে কে পাবে আর কে পাবেনা। যাহা সম্পুর্ণ তাদের ভাঁওতাবাজি ও অপপ্রচার। বয়স্ক, বিধবা, স্বামীপরিত্যক্ত ভাতা পাইয়ে দিবার আশ্বাস দিয়ে তারা সামনে নির্বাচনে পুনরায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা পর্যন্ত করাচ্ছে। দেখা গেছে চেয়ারম্যানগন প্রতি গ্রামে দু একজন বিশ্বস্থ লোক দিয়ে উল্লেক্ষিত পুরুষ ও মহিলা দের নিকট গিয়ে এন আই ডি কার্ড সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে এবং উক্ত ব্যক্তিদের কে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে গোপনে। উক্ত কার্ড পাওয়ার আশাবাদী মানুষেরা গোপনে ছুটে যাচ্ছে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে পড়তেছে ওয়াদার মুখে। বাধ্য হচ্ছে ওয়াদা করতে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এমন কর্মকাণ্ড জনগন আশা করেনা।
দেশের তৃনমুল পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিগনের দেশের অসহায় বয়স্ক সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়ার এমন আচরণের প্রতি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃস্টি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশের সচেতন মানুষ। (চলবে)