ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘাটাইলে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের মটর সাইকেলে পথসভা নাগরিক টিভির পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন বাবুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন দিনাজপুরে কমেছে তাপমাত্রা, ভোরে লাগে শীত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার ॥

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন মৃত্যুর ঘটনার মামলাটির তদন্দভার পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এছাড়া আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসাইন একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে থানা-পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তরের নির্দেশনা এসেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। আগুনে পোড়া হত্যা মামলার কাগজপত্র, জব্দ করা আলামত জেলা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন। সিআইডি নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়য়া হয়েছে। আগামী শনিবার সিআইডির পক্ষ থেকে তদন্তভার গ্রহণ করা হবে। ওদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসাইন একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড এ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে তখন প্রায় ৪০০-এর বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়ক করার প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। পরে এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর পৃর্থক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তার ৪ ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল হাশেমসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বুধবার আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন বিচারক। জামিন পান আবুল হাসেমের ছোট দুই ছেলে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাটাইলে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর

আপডেট টাইম : ০৩:০১:৫৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ॥

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন মৃত্যুর ঘটনার মামলাটির তদন্দভার পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এছাড়া আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসাইন একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে থানা-পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তরের নির্দেশনা এসেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। আগুনে পোড়া হত্যা মামলার কাগজপত্র, জব্দ করা আলামত জেলা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন। সিআইডি নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়য়া হয়েছে। আগামী শনিবার সিআইডির পক্ষ থেকে তদন্তভার গ্রহণ করা হবে। ওদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসাইন একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড এ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে তখন প্রায় ৪০০-এর বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়ক করার প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। পরে এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর পৃর্থক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তার ৪ ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল হাশেমসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বুধবার আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন বিচারক। জামিন পান আবুল হাসেমের ছোট দুই ছেলে।