ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যার ঘটনায় ঘাতক শাহীনের দায় স্বীকার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • / ৩০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।

বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক শাহিন মুন্সীকে গ্রেপ্তার করেছে সি আই ডি। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের বন্দর থানা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর সাহিন কে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে জবানবন্দি দেয় শাহিন। এতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সাহিন

এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই আরো দুজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। তারা হলেন ঘাতক শাহিনের মা শাহিনুর বেগম ও মামাতো ভাই ইমাম হোসেন। ৪ জুলাই আটক দুজনকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করে পৃথক-পৃথক ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন শুনানির জন্য রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহিন মুন্সী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে। সুমাইয়া একই গ্রামের রিপন বাদশা’র মেয়ে।

পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ১ জুলাই রাত দশটার দিকে সুমাইয়া টয়লেটে গেলে পিছু নেয় শাহিন। সেখানে থাকা লায়নলের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে সুমাইয়াকে। এর পর বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়ে মাটি চাপা দেয় শাহিন একাই। এর পরে ঘরে গিয়ে নয় মাসের শিশু জুঁইকে কান্না করতে দেখে তাকে নিয়ে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ঘাতক সাহিন। এরপর মায়ের সাথেই বাড়ির পাশে পুঁতে রাখে জুঁইকে।

এ ঘটনার দু’দিন পর ৩জুলাই নিজ বাড়ির সংলগ্ন খালের পাড়ে গর্ত থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা পুলিশ। পরের দিন ময়না তদন্ত শেষে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়।

মরাদেহ উদ্ধারের পর গত ৩জুলাই বিকেলে সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে জামাই শাহিন মুন্সী, তার মা শাহিনুর বেগম, মামাতো ভাই ইমাম ও ইমামের শ্যালক রিমন সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামি করে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বুধবার সাহিনের জবানবন্দি আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড করে বুধবার বিকেলে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যার ঘটনায় ঘাতক শাহীনের দায় স্বীকার

আপডেট টাইম : ১১:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।

বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক শাহিন মুন্সীকে গ্রেপ্তার করেছে সি আই ডি। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের বন্দর থানা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর সাহিন কে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে জবানবন্দি দেয় শাহিন। এতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সাহিন

এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই আরো দুজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। তারা হলেন ঘাতক শাহিনের মা শাহিনুর বেগম ও মামাতো ভাই ইমাম হোসেন। ৪ জুলাই আটক দুজনকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করে পৃথক-পৃথক ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন শুনানির জন্য রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহিন মুন্সী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে। সুমাইয়া একই গ্রামের রিপন বাদশা’র মেয়ে।

পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ১ জুলাই রাত দশটার দিকে সুমাইয়া টয়লেটে গেলে পিছু নেয় শাহিন। সেখানে থাকা লায়নলের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে সুমাইয়াকে। এর পর বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়ে মাটি চাপা দেয় শাহিন একাই। এর পরে ঘরে গিয়ে নয় মাসের শিশু জুঁইকে কান্না করতে দেখে তাকে নিয়ে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ঘাতক সাহিন। এরপর মায়ের সাথেই বাড়ির পাশে পুঁতে রাখে জুঁইকে।

এ ঘটনার দু’দিন পর ৩জুলাই নিজ বাড়ির সংলগ্ন খালের পাড়ে গর্ত থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা পুলিশ। পরের দিন ময়না তদন্ত শেষে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়।

মরাদেহ উদ্ধারের পর গত ৩জুলাই বিকেলে সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে জামাই শাহিন মুন্সী, তার মা শাহিনুর বেগম, মামাতো ভাই ইমাম ও ইমামের শ্যালক রিমন সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামি করে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বুধবার সাহিনের জবানবন্দি আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড করে বুধবার বিকেলে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক।