ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

বন্দরের সকল ইউপি চেয়ারম্যানই ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত- ইউএনও শুক্লা সরকার। 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৫:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • / ৫৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিশেষ প্রতিনিধি।।

বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান। করোনা ভাইরাসের টিকা ইতিমধ্যে রোববার বিকেলে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পৌছেছে বলে তিনি জানান।

ড্রেজার বিষয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বন্দর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার সকল চেয়ারম্যানই ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত। উপজেলা সংলগ্ন সড়কের ড্রেজারের পাইপ সরাতে এমপি মহাদয়ের কাছেসহ আমাকে বলতে হয়েছে। অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা বন্ধে পাইপ খুলে দেয়া হয়েছে। ২ টি পাইপ  টেন্ডারে বিক্রি করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের কোন্দলের কবলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়।

যে কোন্দলের কারনে নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সাংসদ সেলিম ওসমান স্যারের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করেছি। সেই ড্রেজারে শনিবার রাতে বালু পড়েছে এমন তথ্যের পর তিনি বলেন আগামীকাল ওই পাইপ খুলে আনা হবে এবং ড্রেজার বন্ধ করে দেয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদের সব চেয়ারম্যানরা ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত।

ফসলী জমিগুলো ভরাট করছে। এগুলো রক্ষা করাতো তাদেরও দায়িত্বে পরে। কারন বন্দর উপজেলা আপনাদের। আমি দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। যেকোন সময় অন্যথ বদলী হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। নিজেরা সচেতন না হলে হবে না।

উল্লেখ্য যে, বন্দর উপজেলা এলাকায় ২৫/৩০ টি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ রাস্তার উপর দিয়ে স্থাপনের কারনে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা সহ ফসলি জমি ভরাট এর কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। জনগনের প্রশ্ন কি কারণে এ সকল ড্রেজারের পাইপ বহাল তবিয়তে আছে আর প্রশাসনের কারা এর হালুয়া-রুটির ভাগ পায় ? যে ড্রেজার স্থাপন নিয়ে প্রতিনিয়ত মারামারির মত ঘটনা ঘটছে। তারপরও সবাই কেমন জানি নীরব।

মদনগঞ্জ- মদনপুর সড়কটি ১শ’ ফুট চওড়া হবে। আর সে প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে ফরাজীকান্দা এলাকার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুর আলম মিয়ার একটি গ্রুপ আর সোনাকান্দা এলাকার বিএনপির নেতা খোকন মৃধা, আওয়ামীলীগ নেতা শিপলু, ফয়সাল, বড় খোকন, আজহার গ্রুপের একাধিকবার ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।

একাধিকবার মারামারিসহ ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। নাসিক ২০ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির সক্রিয় নেতা গোলাম নবী মুরাদের লোকজন। মুরাদের প্রভাবেই তারা বিশাল দাপুটের সাথে ২ টি ড্রেজার চালিয়ে যাচ্ছে। দুই গ্রুপের রনক্ষেত্র ও অবস্থান দেখে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের সর্বচ্চো মহল নিষেধাঙ্গা আরোপ করে বলে জানা গেছে।

তবে অদৃশ্য শক্তির ফলে পশ্চিম হাজীপুর এসে খোকন মৃধা গং এখনো বালু ভরাট করছে। এতে করে কয়েকটি এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তার বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না জনগন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব হাজীপুর ও পশ্চিম হাজীপুর অনেক ফসলি জমি আছে ঐগূলো ভরাট করার জন্য  ২ টি ড্রেজার লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর জনগন পোহাচ্ছে দূর্ভোগ, ফসলী জমি বালুর মাঠে পরিনত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিএনপির মোখশ ধারী নেতারা। সরকারী দল না পারলেও কোন সে অদৃশ্য শক্তির ফলে বিএনপির নেতারা অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা করে যাচ্ছে,।

তাই বৈধ? সরকারীদলীয় নেতাদের ক্ষেত্রে বাধা কিসের ইঙ্গিত বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী জানান।

গত দুইদিন আগে বন্দরে অবৈধ ড্রেজার স্থাপনের সময় ৭টি ড্রেজারের পাইপসহ ২ জনকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলার দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। ড্রেজারের পাইপ স্থাপনের সময় থানা পুলিশ যে ভূমিকা পালন করেছে তা ধন্যবাদ পাওয়ার। কিন্তু বন্দর উপজেলা এলাকায় অবৈধভাবে ২৫/৩০ টি ড্রেজার চলছে। তাদের অবৈধ ড্রেজারের অনুমতি কে দিয়েছে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। বন্দর উপজেলায় কৃষি জমি নেই বললেই চলে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় হতে আদৌ পর্যন্ত অবৈধ ড্রেজারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ড্রেজারের অবৈধ কবল হতে বন্দরবাসীকে রক্ষা করতে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারসহ বন্দর থানা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সুফল পায়নি বন্দরবাসী।

আর এই ড্রেজারের ঘটনায় বন্দরের ফরাজীকান্দা, সোনাকান্দা, দড়িসোনাকান্দা, বেপারীপাড়াসহ ৬/৭ টি এলাকার একাধিক গ্রুপ দীর্ঘ দিন যাবত কঠোর অবস্থানে। মদনগঞ্জ-মদনপুর ১শ’ফুট সড়ককে কেন্দ্র করে গ্রুপের মাঝে একাধিকবার মারামারি হয়েছে। এ ড্রেজার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকায় সচেতন মহল। সরকার দলীয় আবার বিএনপির লোক নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের দল বড় করার প্রক্রিয়া, আবার তৃতীয় পক্ষের ইন্দন সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। ড্রেজার স্থাপন নিয়ে অপত্তিকর কোন ঘটনা ঘটলে তা আইন শৃঙ্খলা অবনতিসহ স্থানীয় সাংসদসহ জনপ্রতিনিধিদের বদনাম হবে।

এছাড়াও বন্দরের মদনপুর, ধামগড়, মুসাপুর, বন্দর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সড়কে উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ নেওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা ও ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ। রাস্তা মধ্যে উঁচু করে বাধের মত করে নিচ দিয়ে পাইপ নিয়ে মদনগঞ্জ ঘাট হইতে মাধবপাশা বিল পর্যন্ত একটি ড্রেজারের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এখান দিয়ে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি পারাপার হয় ফরাজিকান্দা রোড হয়ে এই পাইপের উপর দিয়ে,কিন্তু কি কারনে এই ড্রেজার পাইপের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন তা নিয়ে সচেতন মহলের কাছে নানা কৌতহলের জন্ম দিয়েছে। অনেকের প্রশ্ন তাদের শক্তি কি প্রশাসনের উপরে?

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বন্দরের সকল ইউপি চেয়ারম্যানই ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত- ইউএনও শুক্লা সরকার। 

আপডেট টাইম : ০৬:১৫:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি।।

বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান। করোনা ভাইরাসের টিকা ইতিমধ্যে রোববার বিকেলে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পৌছেছে বলে তিনি জানান।

ড্রেজার বিষয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বন্দর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার সকল চেয়ারম্যানই ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত। উপজেলা সংলগ্ন সড়কের ড্রেজারের পাইপ সরাতে এমপি মহাদয়ের কাছেসহ আমাকে বলতে হয়েছে। অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা বন্ধে পাইপ খুলে দেয়া হয়েছে। ২ টি পাইপ  টেন্ডারে বিক্রি করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের কোন্দলের কবলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়।

যে কোন্দলের কারনে নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সাংসদ সেলিম ওসমান স্যারের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করেছি। সেই ড্রেজারে শনিবার রাতে বালু পড়েছে এমন তথ্যের পর তিনি বলেন আগামীকাল ওই পাইপ খুলে আনা হবে এবং ড্রেজার বন্ধ করে দেয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদের সব চেয়ারম্যানরা ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত।

ফসলী জমিগুলো ভরাট করছে। এগুলো রক্ষা করাতো তাদেরও দায়িত্বে পরে। কারন বন্দর উপজেলা আপনাদের। আমি দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। যেকোন সময় অন্যথ বদলী হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। নিজেরা সচেতন না হলে হবে না।

উল্লেখ্য যে, বন্দর উপজেলা এলাকায় ২৫/৩০ টি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ রাস্তার উপর দিয়ে স্থাপনের কারনে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা সহ ফসলি জমি ভরাট এর কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। জনগনের প্রশ্ন কি কারণে এ সকল ড্রেজারের পাইপ বহাল তবিয়তে আছে আর প্রশাসনের কারা এর হালুয়া-রুটির ভাগ পায় ? যে ড্রেজার স্থাপন নিয়ে প্রতিনিয়ত মারামারির মত ঘটনা ঘটছে। তারপরও সবাই কেমন জানি নীরব।

মদনগঞ্জ- মদনপুর সড়কটি ১শ’ ফুট চওড়া হবে। আর সে প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে ফরাজীকান্দা এলাকার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুর আলম মিয়ার একটি গ্রুপ আর সোনাকান্দা এলাকার বিএনপির নেতা খোকন মৃধা, আওয়ামীলীগ নেতা শিপলু, ফয়সাল, বড় খোকন, আজহার গ্রুপের একাধিকবার ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।

একাধিকবার মারামারিসহ ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। নাসিক ২০ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির সক্রিয় নেতা গোলাম নবী মুরাদের লোকজন। মুরাদের প্রভাবেই তারা বিশাল দাপুটের সাথে ২ টি ড্রেজার চালিয়ে যাচ্ছে। দুই গ্রুপের রনক্ষেত্র ও অবস্থান দেখে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের সর্বচ্চো মহল নিষেধাঙ্গা আরোপ করে বলে জানা গেছে।

তবে অদৃশ্য শক্তির ফলে পশ্চিম হাজীপুর এসে খোকন মৃধা গং এখনো বালু ভরাট করছে। এতে করে কয়েকটি এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তার বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না জনগন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব হাজীপুর ও পশ্চিম হাজীপুর অনেক ফসলি জমি আছে ঐগূলো ভরাট করার জন্য  ২ টি ড্রেজার লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর জনগন পোহাচ্ছে দূর্ভোগ, ফসলী জমি বালুর মাঠে পরিনত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিএনপির মোখশ ধারী নেতারা। সরকারী দল না পারলেও কোন সে অদৃশ্য শক্তির ফলে বিএনপির নেতারা অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা করে যাচ্ছে,।

তাই বৈধ? সরকারীদলীয় নেতাদের ক্ষেত্রে বাধা কিসের ইঙ্গিত বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী জানান।

গত দুইদিন আগে বন্দরে অবৈধ ড্রেজার স্থাপনের সময় ৭টি ড্রেজারের পাইপসহ ২ জনকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলার দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। ড্রেজারের পাইপ স্থাপনের সময় থানা পুলিশ যে ভূমিকা পালন করেছে তা ধন্যবাদ পাওয়ার। কিন্তু বন্দর উপজেলা এলাকায় অবৈধভাবে ২৫/৩০ টি ড্রেজার চলছে। তাদের অবৈধ ড্রেজারের অনুমতি কে দিয়েছে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। বন্দর উপজেলায় কৃষি জমি নেই বললেই চলে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় হতে আদৌ পর্যন্ত অবৈধ ড্রেজারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ড্রেজারের অবৈধ কবল হতে বন্দরবাসীকে রক্ষা করতে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারসহ বন্দর থানা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সুফল পায়নি বন্দরবাসী।

আর এই ড্রেজারের ঘটনায় বন্দরের ফরাজীকান্দা, সোনাকান্দা, দড়িসোনাকান্দা, বেপারীপাড়াসহ ৬/৭ টি এলাকার একাধিক গ্রুপ দীর্ঘ দিন যাবত কঠোর অবস্থানে। মদনগঞ্জ-মদনপুর ১শ’ফুট সড়ককে কেন্দ্র করে গ্রুপের মাঝে একাধিকবার মারামারি হয়েছে। এ ড্রেজার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকায় সচেতন মহল। সরকার দলীয় আবার বিএনপির লোক নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের দল বড় করার প্রক্রিয়া, আবার তৃতীয় পক্ষের ইন্দন সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। ড্রেজার স্থাপন নিয়ে অপত্তিকর কোন ঘটনা ঘটলে তা আইন শৃঙ্খলা অবনতিসহ স্থানীয় সাংসদসহ জনপ্রতিনিধিদের বদনাম হবে।

এছাড়াও বন্দরের মদনপুর, ধামগড়, মুসাপুর, বন্দর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সড়কে উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ নেওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা ও ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ। রাস্তা মধ্যে উঁচু করে বাধের মত করে নিচ দিয়ে পাইপ নিয়ে মদনগঞ্জ ঘাট হইতে মাধবপাশা বিল পর্যন্ত একটি ড্রেজারের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এখান দিয়ে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি পারাপার হয় ফরাজিকান্দা রোড হয়ে এই পাইপের উপর দিয়ে,কিন্তু কি কারনে এই ড্রেজার পাইপের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন তা নিয়ে সচেতন মহলের কাছে নানা কৌতহলের জন্ম দিয়েছে। অনেকের প্রশ্ন তাদের শক্তি কি প্রশাসনের উপরে?