ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক গ্রেফতার

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।।

রাজশাহীর পবা থানা পুলিশের অভিযানে ইমো একাউন্টের মেসেজিংয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুল খান শামীম ওরফে জুম্মন খান (৪০) নামের এই অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার খাসেরহাটের বজরুসার গ্রামের আজিজুল খাঁন ওরফে আজগর খানের ছেলে। জুম্মন বর্তমানে রাজধানীর মুগদা থানার মুগদাপাড়া ১ নম্বর গলিতে বসবাস করেন। রবিবার গভীর রাতে জুম্মনকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক জুম্মন নিজেকে আমেরিকা প্রবাসী বলে দাবি করেন। কিন্তু বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহ প্রকাশ করে পবা থানার এক নারীর সঙ্গে ইমো একাউন্টের মেসেজিংয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর জুম্মন ওই নারীকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক গত জুন মাসে বিয়ে করেন।প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন ও বিয়ে পরবর্তী সময়ে আসামী জুম্মন ওই নারীর কাছ থেকে ব্যবসায়িক সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ওই নারী জুম্মনের প্রতারণা বুঝতে পেরে পবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পবা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়। মামলাটি দায়েরের পর পরই আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের নির্দেশে পবা থানার একটি টিম এসআই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার নাম-ঠিকানা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। সোমবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০৪:০৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।।

রাজশাহীর পবা থানা পুলিশের অভিযানে ইমো একাউন্টের মেসেজিংয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুল খান শামীম ওরফে জুম্মন খান (৪০) নামের এই অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার খাসেরহাটের বজরুসার গ্রামের আজিজুল খাঁন ওরফে আজগর খানের ছেলে। জুম্মন বর্তমানে রাজধানীর মুগদা থানার মুগদাপাড়া ১ নম্বর গলিতে বসবাস করেন। রবিবার গভীর রাতে জুম্মনকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক জুম্মন নিজেকে আমেরিকা প্রবাসী বলে দাবি করেন। কিন্তু বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহ প্রকাশ করে পবা থানার এক নারীর সঙ্গে ইমো একাউন্টের মেসেজিংয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর জুম্মন ওই নারীকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক গত জুন মাসে বিয়ে করেন।প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন ও বিয়ে পরবর্তী সময়ে আসামী জুম্মন ওই নারীর কাছ থেকে ব্যবসায়িক সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ওই নারী জুম্মনের প্রতারণা বুঝতে পেরে পবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পবা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়। মামলাটি দায়েরের পর পরই আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের নির্দেশে পবা থানার একটি টিম এসআই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার নাম-ঠিকানা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। সোমবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।