ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৬৭০ টাকা করার দাবি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • / ২৪৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

চা-বাগান’ শিল্প সেক্টরে দৈনিক ১১৭ টাকা নিম্নতম মজুরির সুপারিশ বাতিল করে বর্তমান বাজারদরে ৬-৭ জনের পরিবারের খরচ বিবেচনায় নিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৬৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করার দাবিতে রাজধানীতে তোপখানা রোডের মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ।

রবিবার (২৭ জুন) ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটো।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অটোরিকশা-সিএনজিচালক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ এবং উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্ট্রুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান খান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন চা-শিল্পের ১৬৭ বছরের ইতিহাসেও চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৬৭ টাকা হয়নি। অথচ শ্রমিকদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে চা-উৎপাদনে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। এমনকি করোনাকালে বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকরা ছুটি এবং নানান রকম প্রণোদনা পেলেও চা-শ্রমিকরা ছুটি ও কোনো প্রণোদনা ছাড়াই উৎপাদনে সক্রিয় থাকায় ২০২০ সালেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন বেশি হয়। নির্মম শ্রমশোষণ আর মালিকদের শ্রমআইন লক্সঘনের মধ্যেই লুকায়িত রয়েছে চা-শিল্পের মালিকদের বিত্তবৈভব। অথচ সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড ১১ বছরের বেশি সময় পর গত ১৩ জুন চা-বাগান শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের জন্য ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক ১২০ টাকা, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্লাস বাগানে যথাক্রমে ১১৮ টাকা ও ১১৭ টাকা মজুরির প্রস্তাব করে বিভিন্ন সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে।

বক্তারা বলেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ৪৩টি সেক্টরে এবং মজুরি কমিশন ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প সেক্টরের মজুরির সঙ্গে তুলনা করলে চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম। বিস্ময়কর বিষয় যে, ঠিকা (শিক্ষানবিস/অস্থায়ী) শ্রমিকরা যেখানে বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন, সেখানে মজুরি বোর্ড প্রস্তাব করেছে ১১০ টাকা।

একজন শ্রমিকের দৈনিক পরিশ্রমের পর পরের দিন কাজে যোগদানের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজনে দৈনিক তিন বেলা অতি সাধারণভাবে আহারের জন্য ১০০ (২০+৪০+৪০) টাকা দিলেও পেট ভরে না। তাই স্ত্রী পুত্র কন্যাসহ মা-বাবাকে নিয়ে ৬ সদস্যের এক পরিবারের জন্য দৈনিক ন্যূনতম ৬০০ টাকা দরকার। এর সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত করলে মাসিক ২০,০০০ টাকা ছাড়া বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে কোনো ভাবেই চলা সম্ভব নয়। সমাবেশ শেষে খলিলুর রহমান ও প্রকাশ দত্তের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মজুরি বোর্ডে ১২ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৬৭০ টাকা করার দাবি

আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

চা-বাগান’ শিল্প সেক্টরে দৈনিক ১১৭ টাকা নিম্নতম মজুরির সুপারিশ বাতিল করে বর্তমান বাজারদরে ৬-৭ জনের পরিবারের খরচ বিবেচনায় নিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ৬৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করার দাবিতে রাজধানীতে তোপখানা রোডের মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ।

রবিবার (২৭ জুন) ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটো।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অটোরিকশা-সিএনজিচালক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ এবং উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্ট্রুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান খান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন চা-শিল্পের ১৬৭ বছরের ইতিহাসেও চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৬৭ টাকা হয়নি। অথচ শ্রমিকদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে চা-উৎপাদনে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। এমনকি করোনাকালে বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকরা ছুটি এবং নানান রকম প্রণোদনা পেলেও চা-শ্রমিকরা ছুটি ও কোনো প্রণোদনা ছাড়াই উৎপাদনে সক্রিয় থাকায় ২০২০ সালেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন বেশি হয়। নির্মম শ্রমশোষণ আর মালিকদের শ্রমআইন লক্সঘনের মধ্যেই লুকায়িত রয়েছে চা-শিল্পের মালিকদের বিত্তবৈভব। অথচ সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড ১১ বছরের বেশি সময় পর গত ১৩ জুন চা-বাগান শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের জন্য ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক ১২০ টাকা, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্লাস বাগানে যথাক্রমে ১১৮ টাকা ও ১১৭ টাকা মজুরির প্রস্তাব করে বিভিন্ন সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে।

বক্তারা বলেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ৪৩টি সেক্টরে এবং মজুরি কমিশন ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প সেক্টরের মজুরির সঙ্গে তুলনা করলে চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম। বিস্ময়কর বিষয় যে, ঠিকা (শিক্ষানবিস/অস্থায়ী) শ্রমিকরা যেখানে বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন, সেখানে মজুরি বোর্ড প্রস্তাব করেছে ১১০ টাকা।

একজন শ্রমিকের দৈনিক পরিশ্রমের পর পরের দিন কাজে যোগদানের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজনে দৈনিক তিন বেলা অতি সাধারণভাবে আহারের জন্য ১০০ (২০+৪০+৪০) টাকা দিলেও পেট ভরে না। তাই স্ত্রী পুত্র কন্যাসহ মা-বাবাকে নিয়ে ৬ সদস্যের এক পরিবারের জন্য দৈনিক ন্যূনতম ৬০০ টাকা দরকার। এর সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত করলে মাসিক ২০,০০০ টাকা ছাড়া বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে কোনো ভাবেই চলা সম্ভব নয়। সমাবেশ শেষে খলিলুর রহমান ও প্রকাশ দত্তের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মজুরি বোর্ডে ১২ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।