ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী দোসর দূর্নীতিবাজ শাহজাহানের ঘুষের টাকায় ফেয়ারওয়েল Logo হাদির ওপর হামলা: মোটরসাইকেল, ভুয়া নম্বরপ্লেট ও হেলমেট উদ্ধার Logo খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান কে এই শামসুল ইসলাম Logo নারায়ণগঞ্জ গণপূর্তে দুর্নীতির অভিযোগ হারুনের বিরুদ্ধে Logo সিঙ্গাপুরে হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন Logo প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু Logo জনশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালালরা: ড. ইউনূস Logo জুলাই-অক্টোবরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার Logo আমাকে বিদায় দিতে দয়া করে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না Logo মহম্মদপুরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্তে দুর্নীতির অভিযোগ হারুনের বিরুদ্ধে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাবেক সহ-সভাপতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু আতিকুল ইসলাম (আতিক) সম্প্রতি কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়েছেন, তবু হারুন অর রশিদ এখনো কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন—এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র মতে, গণপূর্ত অধিদপ্তরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হারুন অর রশিদ। অভিযোগ রয়েছে, সংস্কারের নামে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দৃষ্টি এড়িয়ে রাজশাহী থেকে নারায়ণগঞ্জে তাকে পদায়ন করা হয়। নারায়ণগঞ্জে এসে তিনি টেন্ডারবাজি, অনিয়ম এবং ঠিকাদারদের কোণঠাসা করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে কাজ করছেন—যাকে অনেকেই ‘নতুন বোতলে পুরোনো মদ’ বলে আখ্যায়িত করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম শহরজুড়ে চললেও গণপূর্ত অধিদপ্তরে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার দীর্ঘদিন ধরে একটি পুরোনো আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট আঁকড়ে রেখেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় হারুন অর রশিদকে রাজশাহী থেকে নারায়ণগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়। এতে করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তাদেরই আবার নতুন মুখে পুরোনো খেলায় সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে টানা তিন বছর একই পদে থাকার পরও বহাল ছিলেন। অনেকেই আশা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, তার ‘দক্ষতা’ ও ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’র যুক্তিতে তাকে সরানো হয়নি; বরং বদলি ও পদায়নের মাধ্যমে নতুন নাটকের সূচনা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শামীম আখতার আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও পরীক্ষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসন ও পদায়ন করেছেন। এতে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। আতিকুল ইসলামের সিন্ডিকেটের সদস্যদের অপসারণের দাবি উঠলে দু-একজনকে দেখনদারি সরালেও নিষিদ্ধ সংগঠনের সাবেক নেতা আহসান হাবিব ও হারুন অর রশিদসহ অন্যদের আরও বড় দায়িত্বে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিশেষ অভিযোগ হলো, হারুন অর রশিদ আতিকুল ইসলামের স্ত্রীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাডরয়েড কনসাল্ট্যান্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস’-কে নিয়ম ও অনিয়ম—দুইভাবেই কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, অক্টোবর ২০২৪ থেকে গত ১১ মাসে হারুনের মাধ্যমে আতিকের লাইসেন্স ব্যবহার করে মোট ২১টি কাজ দেওয়া হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১০.৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে—অ্যাডরয়েড-এর নামে ১৯টি কাজ (১.৭১ কোটি টাকা), ACE-AT যৌথ উদ্যোগের নামে একটি কাজ (৪.৫ কোটি টাকা) এবং দ্য ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড আর্কিটেক্টস-এর নামে একটি কাজ (৪.৪৪ কোটি টাকা)।
এছাড়া, ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখে হারুন ৫টি LTM ও ১টি OTM পদ্ধতিতে মোট ৬টি কাজের দরপত্র আহ্বান করেন। আশ্চর্যের বিষয়, ছয়টি কাজই পায় আতিকের প্রতিষ্ঠান অ্যাডরয়েড এবং ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সব কটির NOA দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, একাধিক দরপত্রে একক প্রার্থী দেখিয়ে প্রতিযোগিতা ছাড়াই কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
হারুন অর রশিদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট ও ছবি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ‘সাবেক সফল সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েট শাখা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ফুলেল সংবর্ধনা দিয়েছেন। এমনকি নির্বাচনের পর আওয়ামী প্রার্থীদের বিজয় উদযাপনেও তার সক্রিয় উপস্থিতির ছবি ও পোস্ট পাওয়া গেছে।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত অবস্থায় হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দরপত্র ছাড়াই কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে। ৯ জুন ২০২৪ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দরপত্র আহ্বানের আগেই একটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং পরে তা স্বীকার করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সব মিলিয়ে অভিযোগ উঠেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ হিসেবে উপস্থাপন করে হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পদায়ন পান। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার ও আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের সহায়তায় গণপূর্ত অধিদপ্তরে এখনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্য চলমান রয়েছে। অথচ আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলেও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে রহস্যজনকভাবে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—যা জনমনে বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী দোসর দূর্নীতিবাজ শাহজাহানের ঘুষের টাকায় ফেয়ারওয়েল

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্তে দুর্নীতির অভিযোগ হারুনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৫:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাবেক সহ-সভাপতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু আতিকুল ইসলাম (আতিক) সম্প্রতি কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়েছেন, তবু হারুন অর রশিদ এখনো কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন—এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র মতে, গণপূর্ত অধিদপ্তরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হারুন অর রশিদ। অভিযোগ রয়েছে, সংস্কারের নামে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দৃষ্টি এড়িয়ে রাজশাহী থেকে নারায়ণগঞ্জে তাকে পদায়ন করা হয়। নারায়ণগঞ্জে এসে তিনি টেন্ডারবাজি, অনিয়ম এবং ঠিকাদারদের কোণঠাসা করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে কাজ করছেন—যাকে অনেকেই ‘নতুন বোতলে পুরোনো মদ’ বলে আখ্যায়িত করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম শহরজুড়ে চললেও গণপূর্ত অধিদপ্তরে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার দীর্ঘদিন ধরে একটি পুরোনো আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট আঁকড়ে রেখেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় হারুন অর রশিদকে রাজশাহী থেকে নারায়ণগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়। এতে করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তাদেরই আবার নতুন মুখে পুরোনো খেলায় সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে টানা তিন বছর একই পদে থাকার পরও বহাল ছিলেন। অনেকেই আশা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, তার ‘দক্ষতা’ ও ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’র যুক্তিতে তাকে সরানো হয়নি; বরং বদলি ও পদায়নের মাধ্যমে নতুন নাটকের সূচনা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শামীম আখতার আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও পরীক্ষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসন ও পদায়ন করেছেন। এতে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। আতিকুল ইসলামের সিন্ডিকেটের সদস্যদের অপসারণের দাবি উঠলে দু-একজনকে দেখনদারি সরালেও নিষিদ্ধ সংগঠনের সাবেক নেতা আহসান হাবিব ও হারুন অর রশিদসহ অন্যদের আরও বড় দায়িত্বে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিশেষ অভিযোগ হলো, হারুন অর রশিদ আতিকুল ইসলামের স্ত্রীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাডরয়েড কনসাল্ট্যান্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস’-কে নিয়ম ও অনিয়ম—দুইভাবেই কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, অক্টোবর ২০২৪ থেকে গত ১১ মাসে হারুনের মাধ্যমে আতিকের লাইসেন্স ব্যবহার করে মোট ২১টি কাজ দেওয়া হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১০.৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে—অ্যাডরয়েড-এর নামে ১৯টি কাজ (১.৭১ কোটি টাকা), ACE-AT যৌথ উদ্যোগের নামে একটি কাজ (৪.৫ কোটি টাকা) এবং দ্য ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড আর্কিটেক্টস-এর নামে একটি কাজ (৪.৪৪ কোটি টাকা)।
এছাড়া, ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখে হারুন ৫টি LTM ও ১টি OTM পদ্ধতিতে মোট ৬টি কাজের দরপত্র আহ্বান করেন। আশ্চর্যের বিষয়, ছয়টি কাজই পায় আতিকের প্রতিষ্ঠান অ্যাডরয়েড এবং ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সব কটির NOA দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, একাধিক দরপত্রে একক প্রার্থী দেখিয়ে প্রতিযোগিতা ছাড়াই কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
হারুন অর রশিদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট ও ছবি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ‘সাবেক সফল সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েট শাখা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ফুলেল সংবর্ধনা দিয়েছেন। এমনকি নির্বাচনের পর আওয়ামী প্রার্থীদের বিজয় উদযাপনেও তার সক্রিয় উপস্থিতির ছবি ও পোস্ট পাওয়া গেছে।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত অবস্থায় হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দরপত্র ছাড়াই কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে। ৯ জুন ২০২৪ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দরপত্র আহ্বানের আগেই একটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং পরে তা স্বীকার করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সব মিলিয়ে অভিযোগ উঠেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ হিসেবে উপস্থাপন করে হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পদায়ন পান। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার ও আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের সহায়তায় গণপূর্ত অধিদপ্তরে এখনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও বদলি বাণিজ্য চলমান রয়েছে। অথচ আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলেও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে রহস্যজনকভাবে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—যা জনমনে বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।


প্রিন্ট