বিএনপি নেতা জয়নালের চাঁদাবাদি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসি শিরোনামে ৬ই অক্টোবর-০২৫ ইং তারিখে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার দীঘিনালা উপজেলার ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নিয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার পরে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অনুসন্ধানী বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের নিজের মামলা বাণিজ্য দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি সহ সকল অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার মাসিক মাসোয়ারাভুক্ত কতিপয় কিছু গণমাধ্যম কর্মী নামধারী দালাল গংদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করে নানান ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে সুত্র জানায়।
অন্যদিকে দীঘিনালা উপজেলায় জয়নালের চাঁদাবাজি দখল বাণিজ্য মামলা বাণিজ্যের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি ও সম্পাদকের মুঠোফোনে একাধিক ব্যক্তি দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জয়নালের পক্ষ নিয়ে ফোন করে এবং স্বশরীরে সাক্ষাতে করে সংবাদটি দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক প্রস্তাব প্রদান করেন,যাহা রাষ্ট্রের চতুর্থতম্ভ সাংবাদিকতা প্রসার সাথে সাংঘর্ষিক।
এহেন ব্যক্তি গংরা দেশ ও জাতির শত্রু।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্য বালিমহল দখল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলসহ নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী। অনুসন্ধানে দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এবং ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের অপকর্মের ফিরিস্তি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনে ৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাবাসী সারা দেশের মতো আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে,কিন্তু দীঘিনালা উপজেলাবাসীর সেই আনন্দ বিলীন হয়ে যায় ২০২৪ সালের ৫ ই আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীন নামক এক ভয়ঙ্কর দানবের আবির্ভাবের কারণে। এখানে উল্লেখ থাকে যে ৫ ই আগস্ট-০২৪ইং তারিখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার’র পতনের পর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারংবার সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তার মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্য দখলবাজি টেন্ডার বাণিজ্য মানুষের বাড়িঘর লুণ্ঠন ও নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করা যাবে না, যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তার সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখের পরে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন তার সন্ত্রাসী বাইরের মাধ্যমে ধরে এনে নিজ উপস্থিতিতে নির্যাতনের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকার মুক্তিপণ আদায় করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও বিভিন্ন কাঠ ব্যবসায়ীদের থেকে ট্রাক প্রতি এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হয় জয়নাল আবেদীনকে।কাঠ ব্যবসায়ী কবির এর কাঠ বোঝাই ট্রাক আটক করে এক লক্ষ টাকা চাঁদা নেন, উল্লেখ্য প্রতিদিন দীঘিনালা উপজেলা হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ব্যবসায়ীদের দৈনিক ২০/২৫ টি কাঠ বোঝাই ট্রাক দীঘিনালা উপজেলার উপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়, আর সেই সকল মাল বোঝাই ট্রাক প্রতি এক লক্ষ টাকা করে চাদা উত্তোলন করেন জয়নাল আবেদীন নামক ভয়ংকর দানব, এছাড়াও বিগত এক বছরে কাঠ বোঝাই ট্রাক গায়েব করে দেন জয়নাল আবেদীন। আনুমানিক প্রতিটি ট্রাকে নয় লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকার কাঠ বোঝাই ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানান।দীঘিনালা উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ীরা আরো জানান মামলার ভয় এবং মব সন্ত্রাসের ভয়ে কেউ জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায় জয়নাল আবেদীন দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৫ ই আগস্টের পরপর মামলা বাণিজ্যের মাধ্যমে দীঘিনালা উপজেলার নিরীহ মানুষদের থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। ৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখের পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত জয়নাল আবেদীনের চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্য দখল বাণিজ্য কাঠ ব্যবসায়ীদের কাঠ বোঝাই ট্রাক প্রতি ১ লক্ষ টাকা চাঁদা সহ সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায়ের কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাবমূর্তি একদিকে যেমন ক্ষুন্ন হচ্ছে অপরদিকে সাধারণ নাগরিকদের মাঝে বিএনপি’র প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে দীঘিনালা উপজেলা বাসি জানান। দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনকে কিছুদিন পূর্বে চাঁদাবাজি দখল বাণিজ্য মুক্তিপন আদায় মামলা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সেনাবাহিনী আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়,পরবর্তীতে মোছলেখা দিয়ে আসেন বলে এলাকাবাসী জানান। জয়নাল আবেদীনের মামলা বাণিজ্য দখল বাণিজ্য ব্যবসায়ীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় সহ নানান অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির পদধারী এক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান জয়নালের এই সকল অপকর্মের কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দীঘিনালা উপজেলা শাখা বিব্রত,তিনি আরো বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে সারা দেশে যেই সকল নেতাকর্মী বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম জুলুমবাজি চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্যে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন, কারণ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারংবার বলেছেন কোন ব্যক্তির অন্যায় অপকর্মের দায় দল নিবে না এবং জয়নাল আবেদীন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিগত এক বছরের সীমাহীন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমাদের নেতা ওয়াদুদ ভূঁইয়া ভাই কে অবগত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন দীঘিনালা উপজেলা এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম, নিরীহ মানুষদের মামলার ভয় দেখিয়ে এক লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক বনে গেছেন এমনকি আগামীতে তিনি কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করবেন বলে জানান, জয়নাল আবেদীনের রয়েছে সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী বাহিনী,ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাজ হচ্ছে জয়নালের নির্দেশ মোতাবেক দীঘিনালা উপজেলার নিরীহ মানুষদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসতবাড়িতে হামলা করে মুক্তিপন আদায় করা। দীঘিনালা উপজেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে জয়নাল আবেদীনের বিগত এক বছরের কর্মকাণ্ড জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক তাই তারা এই বিতর্কিত দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহবান জানান। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের থেকে আর চাঁদাবাজি মুক্তিপণাদায় দখল বাণিজ্য মামলা বাণিজ্য বালুমহল দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে দীঘিনালা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীরা এই প্রতিবেদককে জানান কাজী জয়নাল আবেদীনের চাঁদাবাজি দখল বাণিজ্য অনিয়ম দুর্নীতি মুক্তিপণ আদায় মামলা বাণিজ্য সহ এই সকল বিষয়ে আমরা সংবাদ প্রকাশিত করতে পারছি না তার একটাই কারণ মব সন্ত্রাস’র ভয়, কিন্তু আপনারা ঢাকা থেকে আসছেন দীর্ঘ অনুসন্ধান করেছেন ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নিয়েছেন আপনারা লিখতে পারেন।দীঘিনালা উপজেলার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা এই প্রতিবেদককে আরো জানান জয়নাল আবেদীনের বিষয়ে সকল অভিযোগ এবং ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শতভাগ সত্যি। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি আক্ষেপের সুরে বলেন জয়নাল আবেদীনের মতো নেতাদের কারণে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির ভোট দিন দিন কমতেছে এবং খাগড়াছড়ি জেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ওয়াদুদ ভুঁইয়ার ভাবমূর্তি দিন দিন তলানিতে পৌঁছাচ্ছে। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনই যদি জয়নাল আবেদীনের মত দল বিক্রি করা বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আসছে জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।চলবে,,,,,,,,