ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের কোরবানি ঈদের আগে ছেলের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেপ্তার এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে গত ১২ আগস্ট আদালতে দেখা গেল ভিন্ন রূপে। আসামির কাঠগড়ায় বেঞ্চে বসে ছিলেন তিনি। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন তখন এজলাসে। মতিউর রহমান নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। একপর্যায়ে মতিউর রহমানের আইনজীবীও মতিউরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক আবেদন করেন।
মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠিতে আমি জানিয়েছি, কীভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ এ সময় মতিউর রহমান কারাগার থেকে আনা পর প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর সময় একটি ফাইল নিয়ে আসেন। তার হাতে থাকা সেই ফাইল থেকে একটি চিঠি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র আদালতে জমা দেন।
আদালতের কাছে চিঠিটি ও নথিপত্র জমা দেওয়ার পর মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, কাস্টমস কর্মকর্তা থাকাকালে সামরিক কর্মকর্তা এস এস এফ প্রধান লে. জে. মুজিবের রোষানলে আমি পড়ি। সেই লে. জে. মুজিবের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে।’
এদিকে মতিউরের দেওয়া লে. জে. (অব.) মুজিবের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে- তা যাচাই বাছাই করছে গোযেন্দা সংস্থা। মতিউর রহমান বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি, ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মতিউরকে যেকোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ডিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া দুটি হত্যা মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। মতিউর রহমানকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মতিউর রহমানের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মতিউর বর্তমানে কিশোরগঞ্জ কারাগারে রাখা হয়েছে। আর তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে রাখা হয়েছে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে। মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকলে কারাগার থেকে তাদের আদালতে আনা হয়। কেবল আদালতকক্ষেই দুজনের মাঝেমধ্যে দেখা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বোরহান হাওলাদার জসিম, সহ-সম্পাদক মোসাম্মৎ সাথী আক্তার, নির্বাহী সম্পাদক, সরকার জামাল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মাহফুজুর রহমান দীপ্ত, অতিরিক্ত মফস্বল, সম্পাদক জসীমউদ্দীন রাজিব বার্তা সম্পাদক মোঃ ফোরকান কাজী
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয় : ৪৩, হাটখোলা রোড চৌধুরী মল), টিকাটুলী, ঢাকা-১২০৩
সম্পাদকীয় কার্যালয় :১৯০,সি জামে মসজিদ রোড ফকিরাপুল মতিঝিল ঢাকা -১০০০