কালীগঞ্জ উপজেলার চুয়ারিখোলা এলাকা যেন কতিপয় ভয়ংকর সন্ত্রাসের স্থায়ী অভয়স্থলে পরিণত হয়েছে।সেখানে দিনে দুপুরে চুরি, ডাকাতি,সন্ত্রাসী,ছিনতাই ও মাদক ব্যাবসায়ীদের আখড়াস্থল গড়ে উঠেছে কয়েক বছর যাবত। তাদের অসহনীয় মহাতান্ডবে এলাকায় শান্তি বিনষ্ট ও লুন্ঠিত হয়ে চরম ভয়াবহতার সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধা দেয়াতো দুরের কথা, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলাও যেন অপরাধ!
জানা যায়, এলাকার মামুন মোল্লা একজন সাধারণ ব্যাবসায়ী, প্রতিবাদী ও জনদরদী ব্যাক্তি।বিভিন্ন সময়ে তিনি অসাধু ব্যাক্তিদের দ্বারা সংগঠিত নানান অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে থাকেন।উক্ত ভয়াবহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করায় আক্রোশপ্রসূত হয়ে সেই দাপুটে পুরনো অপশক্তি ও ক্ষমতাধর সন্ত্রাস এলেম হোসেন (৩৮), সৌরভ হোসেন (২৮), জামান মিয়া ও বাবুল(৪০) অজ্ঞাতনামা কয়েকজন সহযোগে সরাসরি হত্যার উদ্দেশ্যে মামুন মোল্লাসহ তার পুরো পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।উক্ত ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ চলমান আছে।
উক্ত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলাকারীরা মামুনের বৃদ্ধ বাবাকেও মারধর করে এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তাদের কাছে থাকা পাইপ ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মামুনসহ অন্তত: ৩ জনকে গুরুতর আহত করে। মামুনের মাথায় ও হাতে কুপিয়ে সরাসরি হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত করে ফেলে।আহতদের আর্ত চিতকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।আহত পরিবার দাবি করেন বিবাদীরা ১০আনা ওজনের স্বর্ণের চেইনও সুযোগ মতো ছিনিয়ে নিয়ে যায় যার আনুমানিক মুল্য ৯০ হাজার টাকা। তাছাড়াও খুব জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই ২ লাখ টাকার চিকিৎসার খরচ পার হয়ে গেছে।এই মামুন আজ নিরাপত্তার ঝুৃঁকিতে আছেন।একাধিক তথ্যসূত্র অনুযায়ী জানা যায়, এভাবে বহুবছর যাবত প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামুনের মতো অনেকের জীবন বিপদাপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেকেই প্রানভয়ে এলাকা ত্যাগ করে চলে গেছেন!
বিবিধ তথ্যসূত্র জানায়, অভিযুক্ত ও কথিত সন্ত্রাসীরা বিগত ৫/৭ বছর ধরেই পুরো দরিপাড়া ও চুয়ারিখোলা এলাকা জুড়ে মাদকের সাম্রাজ্যের পাশাপাশি বিশেষ করে তেল চুরি,ছিনতাই, জবর-দখল ইত্যাদি বহুবিধ অপরাধে লিপ্ত। আগেও তারা একাধিক বার বিভিন্ন মানুষের সাথে আক্রমন ও ভয়াবহ বিপদ ঘটানোর পরেও জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রশাসনকেই পকেটে পুরে তাদের পৈশাচিক কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে।বিগত সময়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় টিকে থাকা এই সন্ত্রাসীরা আজ গিরগিটির মতো রঙ পাল্টেছে। তারা সুযোগ বুঝে নিজেদের বিএনপির কর্মী বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছে।সমগ্র এলাকাবাসী আজও তাদের ভয়াবহতার কাছে বিরাট নাজেহাল ও অসহায়। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মতো মানুষ পাওয়াও দুস্কর।একমাত্র মামুন মোল্লাই শেষ পর্যন্ত তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে জম হয়ে দাড়িয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে দিনে দিনে পালটা জবাব দিয়েই চলেছেন!
বিবিধ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য উক্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের মানবাধিকার সংস্থা "হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল"র সদস্য-কর্মীরা প্রবেশ করা মাত্র খবর পাওয়া যায়, উক্ত সন্ত্রাসীদের সুরক্ষিত রাখতে বিদেশি অপশক্তিরও প্রভাব রয়েছে। তাদের আস্তানাও যেন আরেক লোমহর্ষক অন্ধকার মরণফাঁদ!দেখা যায়,এলাকার প্রধান সড়কের সাথেই কোলাহলযুক্ত পরিবেশে তাদের পুরোনো টিনের ঘরের আস্তানা বা আড্ডাখানা। এমন উদ্ভট স্থানে কাউকে ধরে নিয়ে খুন-গুম করাও অসম্ভব কিছুই নয়।প্রানপণ চিতকার করলেও কেউই যেন কিছুই শুনতে পাবেনা।কেইবা জানে অদুর ভবিষ্যতের আরেক আয়না ঘরের মতো ভয়াল তান্ডব রহস্য সেখানে লুকিয়ে আছে কিনা !
জানা গেছে, সেই ভয়াবহ টিনের ঘরের সামনের তিনতলা বাড়ির মালিক (সৌদি প্রবাসী) সাইফুল (পিতা-আনছর আলী)। চারিপাশে গুঞ্জন রয়েছে -- এই সাইফুল নাকি সমস্ত অপশক্তির উৎস তথা নাটের গুরু! সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্মের রাস্তা দেখিয়ে অবৈধ আয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনিই এবং বিভিন্ন ফায়দা নেয়ার পাশাপাশি মাসে মাসে সেই ভয়ংকর ভাংগা টিনের ছোট্ট ঘরের ভাড়াও খাচ্ছেন ৪০ হাজার টাকা! বাস্তবে যা কিনা ২হাজার টাকাও হয়না।যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় এই বাসা ভাড়া নেয়ার উদ্দেশ্য কি? উত্তরে সবাই নির্বিকার এবং এলাকার প্রশাসন সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ, রহস্যাবৃত ও সন্দেহযুক্ত।সকলের মতেই স্থানীয় প্রশাসন এই সন্ত্রাসীদের দেখভাল করার কাজে মশগুল! তারা যেন অবৈধতা ও অপশক্তিরই সহায়ক গোষ্ঠী মাত্র!!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু এলাকাবাসীরা উৎকন্ঠার সাথে জানান,আমাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই।এভাবে জীবন চলতে পারেনা! এই সন্ত্রাসীদের দমন করবে কে? আর কতোকাল এমন ভয়াবহতা ও অরাজকতা চলবে!আমাদের এলাকায় কি শান্তি ফিরে আসবে না!প্রশাসন কি তাদের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়েই থাকবে? আমাদের সন্তানরাও এসব হাড়-কাঁপা ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের দেখলে আর ভয়ে কোথাও যেতে পারে না। আর পুলিশরা সব কিছু জানার পরেও এদের আড্ডাখানা উচ্ছেদ না করার রহস্য কি আমরা বুঝি না! আমরা যেভাবে জিম্মি হয়ে গেছি এজন্য কাদেরকে দায়ী করা উচিত আপনারই বলুনতো !
লক্ষ্য করা গেছে, পুরো এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসের ভয়ে জর্জরিত ও থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে আছে । পরিপূর্ণ নিরাপত্তা কিংবা স্বাধীনতার অভাবে সন্ত্রাসীপক্ষের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।কারণ, সন্ত্রাসীদের আখড়াস্থল সহ এলাকা জুড়ে যেখানেই যাওয়া হয় সেখানেই বিভিন্ন ভয়ংকর রুপি ব্যাক্তিদের রহস্যময় আচরণ, চাহুনি ও ভংগিমা যেন অতর্কিত প্রাণনাশের হামলার পুর্ব প্রস্তুতির অশুভ ইংগিত প্রদান করছিল!
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করে বিবিধ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে এবং ব্যাবস্থা নিতে বললে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।স্থানীয় জনতা এইসব পিশাচ ও দানবদের কবল থেকে মুক্তি পেতে চায়।সকলে চায় সুস্থ, সুন্দর ও সুশীল সমাজ এবং শান্তিপুর্ন পরিবেশ। এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে উক্ত সমস্যা নির্মূল করার লক্ষ্যে এলাকার স্থানীয় প্রশাসন, প্রভাবশালী ও সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে।
অনুসন্ধান চলমান---------
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বোরহান হাওলাদার জসিম, সহ-সম্পাদক মোসাম্মৎ সাথী আক্তার, নির্বাহী সম্পাদক, সরকার জামাল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মাহফুজুর রহমান দীপ্ত, অতিরিক্ত মফস্বল, সম্পাদক জসীমউদ্দীন রাজিব বার্তা সম্পাদক মোঃ ফোরকান কাজী
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয় : ৪৩, হাটখোলা রোড চৌধুরী মল), টিকাটুলী, ঢাকা-১২০৩
সম্পাদকীয় কার্যালয় :১৯০,সি জামে মসজিদ রোড ফকিরাপুল মতিঝিল ঢাকা -১০০০