ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর পিডি কামাল খান এখনো বহাল★ ভূয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। ★ কানাডাতে সেকেন্ড হোম হিসেবে দশ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ক্রয় করে ছেলের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

ভারত কি শেখ হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দিতে বাধ্য উপদেষ্টা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরে শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের আদেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে। আর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচারের দাবিও উঠেছে। এখনো ভারতে রয়েছেন তিনি। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে-বাংলাদেশ সরকার প্রত্যর্পণের আবেদন জানালে ভারত কি শেখ হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দিতে বাধ্য?

এ প্রশ্ন সামনে রেখেই শুক্রবার (২৩ আগস্ট) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে শেখ হাসিনার অবস্থান যে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা তা বুঝতে পারছে ভারত। এজন্য তৃতীয় কোনও দেশে শেখ হাসিনাকে নিরাপদে রাখার একটা চেষ্টাও চলছে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তির তেমন কোনো গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে না ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই চুক্তি করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে জঙ্গি, পাচারকারী ও চোরাচালানিদের প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্যে। ২০১৬ সালে এই চুক্তিতে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছিল। কোনও দেশ যদি মনে করে, রাজনৈতিক কারণে কাউকে প্রত্যর্পণের দাবি জানানো হচ্ছে, তবে তারা দাবি মানতে বাধ্য নয়। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি ভারত যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে মনে করে, সেখানে বলার কিছু থাকতে পারে না। আবার চুক্তির আরেকটি ধারায় রয়েছে, প্রত্যর্পণের পরে দীর্ঘ কারাবাস ও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলে অন্য পক্ষের দাবি খারিজ করা যাবে বলে প্রতিবেদনে জানা যায়।

এ ছাড়া শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারত কি শেখ হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দিতে বাধ্য উপদেষ্টা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আপডেট টাইম : ০৭:৫২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরে শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের আদেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে। আর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচারের দাবিও উঠেছে। এখনো ভারতে রয়েছেন তিনি। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে-বাংলাদেশ সরকার প্রত্যর্পণের আবেদন জানালে ভারত কি শেখ হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দিতে বাধ্য?

এ প্রশ্ন সামনে রেখেই শুক্রবার (২৩ আগস্ট) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে শেখ হাসিনার অবস্থান যে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা তা বুঝতে পারছে ভারত। এজন্য তৃতীয় কোনও দেশে শেখ হাসিনাকে নিরাপদে রাখার একটা চেষ্টাও চলছে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তির তেমন কোনো গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে না ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই চুক্তি করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে জঙ্গি, পাচারকারী ও চোরাচালানিদের প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্যে। ২০১৬ সালে এই চুক্তিতে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছিল। কোনও দেশ যদি মনে করে, রাজনৈতিক কারণে কাউকে প্রত্যর্পণের দাবি জানানো হচ্ছে, তবে তারা দাবি মানতে বাধ্য নয়। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি ভারত যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে মনে করে, সেখানে বলার কিছু থাকতে পারে না। আবার চুক্তির আরেকটি ধারায় রয়েছে, প্রত্যর্পণের পরে দীর্ঘ কারাবাস ও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলে অন্য পক্ষের দাবি খারিজ করা যাবে বলে প্রতিবেদনে জানা যায়।

এ ছাড়া শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।