ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন : দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা

বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান দৈনিক সময়ের কণ্ঠ
  • আপডেট টাইম : ০২:৩০:২৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / ১৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট।

ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের দেশে শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

গত বুধবার (২৪ মে) শেখ হাসিনা ইজ এশিয়াস আয়রন লেডি, শিরোনাম ভিত্তিক একটি সাক্ষাৎকারের প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য ইকোনমিস্ট।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভার্জিনিয়ার এক হোটেলে এই সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়।

ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি একজন নারী সরকারপ্রধান এবং তিনি উভয়লিঙ্গের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব।

তিনি ক্ষমতায় থাকার দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আর তার ওই নেতৃত্বের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বার্ষিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের ঘরে।

তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার মোট চারটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ৭৫ বছর বয়সি এই নেতার নেতৃত্বে তার দল আওয়ামী লীগ পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে এবং সবমিলিয়ে চারবার জয়লাভ করে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের চেয়ে বেশিদিন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন শেখ হাসিনা।
যা কিনা পৃথিবীর ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচনেও জয়ী হবেন বলে শেখ হাসিনা আশা করছেন।

সাক্ষাৎকারে ইকোনমিস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল যে, নির্বাচন নিয়ে তিনি কী প্রত্যাশা করেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এই দেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই।

ইকোনমিস্ট বলছে, আগামী নির্বাচন বিএনপিকে ক্ষমতায় ফেরার পথ দেখাবে না। শেখ হাসিনা একটি স্বাধীন ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেছেন। তিনি অর্ধ শতাব্দী আগে সেনা শাসনের অধীনে গঠিত বিএনপিকে ‘একজন সামরিক শাসক কর্তৃক অবৈধভাবে গঠিত’ বলে অভিযুক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি দল পাকিস্তানের সাবেক মিত্র এবং সেই দলের প্রায় সবাই যুদ্ধাপরাধী। আমাদের বক্তব্য হল যে, এমন কোনো দল নেই (আওয়ামী লীগ ছাড়া) যারা সত্যিই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ, শেখ হাসিনার শক্ত হাতে সরকার পরিচালনা থেকে দেশ কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আমার ভাইকে, আমার মাকে, মাত্র ১০ বছর বয়সী আরেক ভাইকে হত্যা করেছে। আমার দুই চাচাতো বোন, আমার একমাত্র চাচা, যিনি একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন- তাদেরকেও হত্যা করেছে।’

দুর্নীতি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক সরকারকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা। তিনি পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অস্তিত্বহীন দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন।

দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো নিচের স্তরে দুর্নীতি হয়, কিন্তু আজকাল তেমনটা হচ্ছে না। তারা এটা করার সাহস দেখালে আমি ব্যবস্থা নেব।

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বৈরথের প্রসঙ্গ টেনে পত্রিকাটি লিখেছে, এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্বেগ যে, বিনিয়োগের কারণে শেখ হাসিনা যেন চীনকে কাছে না টানে। ভারতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, তারাও একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক তাদের নিজস্ব বিষয়। আমি সেখানে নাক গলাবো কেন? তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলে যে, তারা গণতান্ত্রিক দেশ…কিন্তু আমাদের দেশে তারা তা প্রয়োগ করে না। কেন তারা আমাকে সমর্থন করে না?

ইকোনমিস্ট জানিয়েছে,
শক্তহাতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ায় লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত বিনিয়োগসহ এমন কিছু নীতি তিনি প্রণয়ন করেছেন, যার মাধ্যমে রয়েছে অস্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির মধ্যেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত ছিল। দেশের কঠিন সময়ে দুর্বল কোনো সরকারের পক্ষে এটা করা সম্ভব হতো না বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন : দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা

আপডেট টাইম : ০২:৩০:২৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট।

ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের দেশে শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

গত বুধবার (২৪ মে) শেখ হাসিনা ইজ এশিয়াস আয়রন লেডি, শিরোনাম ভিত্তিক একটি সাক্ষাৎকারের প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য ইকোনমিস্ট।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভার্জিনিয়ার এক হোটেলে এই সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়।

ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি একজন নারী সরকারপ্রধান এবং তিনি উভয়লিঙ্গের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব।

তিনি ক্ষমতায় থাকার দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আর তার ওই নেতৃত্বের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বার্ষিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের ঘরে।

তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার মোট চারটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ৭৫ বছর বয়সি এই নেতার নেতৃত্বে তার দল আওয়ামী লীগ পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে এবং সবমিলিয়ে চারবার জয়লাভ করে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের চেয়ে বেশিদিন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন শেখ হাসিনা।
যা কিনা পৃথিবীর ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচনেও জয়ী হবেন বলে শেখ হাসিনা আশা করছেন।

সাক্ষাৎকারে ইকোনমিস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল যে, নির্বাচন নিয়ে তিনি কী প্রত্যাশা করেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এই দেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই।

ইকোনমিস্ট বলছে, আগামী নির্বাচন বিএনপিকে ক্ষমতায় ফেরার পথ দেখাবে না। শেখ হাসিনা একটি স্বাধীন ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেছেন। তিনি অর্ধ শতাব্দী আগে সেনা শাসনের অধীনে গঠিত বিএনপিকে ‘একজন সামরিক শাসক কর্তৃক অবৈধভাবে গঠিত’ বলে অভিযুক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি দল পাকিস্তানের সাবেক মিত্র এবং সেই দলের প্রায় সবাই যুদ্ধাপরাধী। আমাদের বক্তব্য হল যে, এমন কোনো দল নেই (আওয়ামী লীগ ছাড়া) যারা সত্যিই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ, শেখ হাসিনার শক্ত হাতে সরকার পরিচালনা থেকে দেশ কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আমার ভাইকে, আমার মাকে, মাত্র ১০ বছর বয়সী আরেক ভাইকে হত্যা করেছে। আমার দুই চাচাতো বোন, আমার একমাত্র চাচা, যিনি একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন- তাদেরকেও হত্যা করেছে।’

দুর্নীতি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক সরকারকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা। তিনি পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অস্তিত্বহীন দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন।

দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো নিচের স্তরে দুর্নীতি হয়, কিন্তু আজকাল তেমনটা হচ্ছে না। তারা এটা করার সাহস দেখালে আমি ব্যবস্থা নেব।

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বৈরথের প্রসঙ্গ টেনে পত্রিকাটি লিখেছে, এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্বেগ যে, বিনিয়োগের কারণে শেখ হাসিনা যেন চীনকে কাছে না টানে। ভারতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, তারাও একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক তাদের নিজস্ব বিষয়। আমি সেখানে নাক গলাবো কেন? তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলে যে, তারা গণতান্ত্রিক দেশ…কিন্তু আমাদের দেশে তারা তা প্রয়োগ করে না। কেন তারা আমাকে সমর্থন করে না?

ইকোনমিস্ট জানিয়েছে,
শক্তহাতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ায় লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত বিনিয়োগসহ এমন কিছু নীতি তিনি প্রণয়ন করেছেন, যার মাধ্যমে রয়েছে অস্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির মধ্যেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত ছিল। দেশের কঠিন সময়ে দুর্বল কোনো সরকারের পক্ষে এটা করা সম্ভব হতো না বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।