টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার ট্রান্সজেন্ডার (তৃতীয় লিঙ্গ) সদস্য মেধাবী সামীইয়া সামী রানা জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল জসীম উদ্দীন হায়দারের কাছে তার দুঃখ-দুর্দশার কথা জানাতে আসেন।
সামীইয়া অত্যন্ত মেধার সাথে ২০১২ সালে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পি.এস.সি) পরিক্ষায় জি.পি.এ ৫.০০ , ২০১৫ তে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জে.এস.সি) তে জি.পি.এ ৫.০০, ২০১৮ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) তে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জি.পি.এ ৪.৬৭ ও ২০২০ সালে হাইয়ার স্কুল সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) তে মানবিক বিভাগ থেকে জি.পি.এ ৫.০০ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে।
কিন্তু সামীইয়া পিতৃহারা, অত্যন্ত দরিদ্র ও হিজড়া সম্প্রদায়ের হওয়ায় সামাজিক কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্যে কাজ না পাওয়ায় তার জীবনে দুর্বিষহ যন্ত্রণা নেমে এসেছে। তার হতদরিদ্র অসুস্থ মায়ের সাথে সাথে সংসারের খরচ চালানো সামীর জন্য হয়ে পরেছে অসম্ভব।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, মেধাবী এই মানু্ষটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যেন অর্থ ও যথোপযুক্ত কাজের অভাবে কোনোভাবেই প্রতিবন্ধকতার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে সামীর চাওয়া অনুযায়ী সেলাই মেশিন কেনার জন্যে তাৎক্ষণিকভাবে তার হাতে কিছু অর্থ তুলে দেন। এছাড়াও টাঙ্গাইলের সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে সামীইয়ার সমস্যা সমাধানের জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, সামীইয়া সামী রানার জন্যে জেলা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত সবসময় প্রসারিত থাকবে এই প্রতিশ্রুতি দেন ও তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।