অবশেষে বাড়ির আঙিনায় সু চি-র দেখা মিলল
- আপডেট টাইম : ১০:৪২:২৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ২৬৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
মিয়ানমারে গত সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি-কে গতকাল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধমবারের মতো দেখা মিলেছে। স্থানীয় কিছু প্রতিবেশী দাবি করছেন, সু চি ভালো আছেন জানাতে নিজ বাড়ির আঙিনায় হাঁটাহাঁটি করতে দেখেছেন। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনলডি’র এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, রাজধানী নেপিদোর সরকারি বাসভবনে তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তারা।
তবে অং সান সু চিসহ এনএলডি নেতাদের আটকে রাখা হলেও বেশিরভাগ স্টেট মিনিস্টারকে মুক্তি দিয়ে বাসায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আর ওদিকে দেশটির রাস্তায় রাস্তায় রাইফেল কাঁধে টহল দিয়ে যাচ্ছে সৈন্যরা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের পর এক বছরের জন্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি এবং একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। সামরিক প্রধান ও অভ্যুত্থানের নেতা মিন উং লাইং দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। সাবেক জেনারেল মিয়ন্ট সুই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরপরই সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে সেনাবাহিনী। সেসব পদে ইতোমধ্যে ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। বাকিরা সেনাসমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিজ হাতে রেখেছেন সেনাপ্রধান মিং অং হ্লইং।
সেনা সরকার আমলে আটক থাকা অং সান সু চির জন্য নতুন কিছু নয়। সাবেক জান্তা সরকারের আমলে ইয়াঙ্গুনের একটি লেক পাড়ের বাড়িতে ১৫ বছর গৃহবন্দি থেকেছেন তিনি। সেখান থেকেই ১৯৯০ এর দশকে তিনি হয়ে ওঠেন গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা, জেতেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগে তাকে আটকের ঘটনা অনেককেই সেই স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়।
তার রাজনৈতিক দল এনএলডি’র এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, এবারে তাকে রাখা হয়েছে নির্বাচিত সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে রাজধানী নেপিদোতে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি বাড়িতে।
এদিকে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সু চি’সহ আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সেইসঙ্গে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্থান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টারও তীব্র বিরোধিতা করা হয়।