ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আইএমএফের শর্ত পূরণে কঠোর হলো ঋণ শ্রেণিকরণের নিয়ম আজ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করবে হেফাজতে ইসলাম সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের হামলায় বিপর্যস্ত সরকারী বাহিনী, নিহত ২০০ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়ে উত্তরায় জাহান আইডিয়াল স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো ক্লাসপার্টি রংপুর থেকে আমাকে উপদেষ্টা ভাবুন: প্রধান উপদেষ্টা সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মার্কিন মানবাধিকারকর্মীর অনশন ধর্মঘট চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর শিক্ষনীয় জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে আকর্ষনীয় ক্লাসপার্টি জাহান আইডিয়াল স্কুলে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,২৯ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্মেলন হতে যাচ্ছে

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলছে চালকের নির্ধারিত ভাড়ায়

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৭৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।

সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভাড়া চাইছেন অ্যাম্বুলেন্সের
চালকরা। উপায়ন্তর না পেয়ে চালকের নির্ধারণ করা ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে হচ্ছে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে।

প্রকাশ্যে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলেও নীরব ভূমিকায় আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সূত্রমতে, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেই হিসাবে ঠাকুরগাঁও থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া ও আসার ভাড়া ১১০০ টাকা ও ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা রংপুর মেডিকেল হাসপাতালের ভাড়া ২০০০ টাকা হওয়ার কথা।

কিন্তু দিনাজপুর গেলে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং রংপুর গেলে ৪ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজনরা।

অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিবহনসেবা নিয়ে এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা। তবে ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও হাজীপাড়ার তারেক নামে এক রোগীকে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন চালক।

অগত্যা রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন ৫ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পান। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে আসা রোগীর স্বজন মামুন জানান, অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে চালকের নম্বর দেওয়া থাকে।

কল দিয়ে চালকদের অনুরোধ করে ডেকে আনতে হয়। ভাড়ার দরদাম অন্য কোথাও করার সুযোগ থাকে না। আকচা এলাকার সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়ে জানি না।

আজ আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। এটা নিয়ে কিছুটা প্রচার করলে আমরা সচেতন হতে পারতাম। অ্যাম্বুলেন্স রাখার নির্ধারিত জায়গায় সাইনবোর্ডে ভাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করা যায়।

এতে রোগীর স্বজনেরা অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে সচেতন হবে।’অভিযোগের বিষয়ে জানতে রোগীর স্বজন পরিচয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার ভাড়া ২০০০ টাকা চান অ্যাম্বুলেন্সের চালক রাজ্জাক।

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়ির তেলের সঙ্গে আরও অনেক খরচ হয়। এর কমে
হবে না, অন্যকোথাও যান।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। তাই আমি ঠিক জানি না। তবে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোহেল তানভীর
ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি
01314175615

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলছে চালকের নির্ধারিত ভাড়ায়

আপডেট টাইম : ১১:৪৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।

সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভাড়া চাইছেন অ্যাম্বুলেন্সের
চালকরা। উপায়ন্তর না পেয়ে চালকের নির্ধারণ করা ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে হচ্ছে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে।

প্রকাশ্যে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলেও নীরব ভূমিকায় আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সূত্রমতে, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেই হিসাবে ঠাকুরগাঁও থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া ও আসার ভাড়া ১১০০ টাকা ও ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা রংপুর মেডিকেল হাসপাতালের ভাড়া ২০০০ টাকা হওয়ার কথা।

কিন্তু দিনাজপুর গেলে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং রংপুর গেলে ৪ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজনরা।

অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিবহনসেবা নিয়ে এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা। তবে ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও হাজীপাড়ার তারেক নামে এক রোগীকে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন চালক।

অগত্যা রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন ৫ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পান। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে আসা রোগীর স্বজন মামুন জানান, অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে চালকের নম্বর দেওয়া থাকে।

কল দিয়ে চালকদের অনুরোধ করে ডেকে আনতে হয়। ভাড়ার দরদাম অন্য কোথাও করার সুযোগ থাকে না। আকচা এলাকার সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়ে জানি না।

আজ আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। এটা নিয়ে কিছুটা প্রচার করলে আমরা সচেতন হতে পারতাম। অ্যাম্বুলেন্স রাখার নির্ধারিত জায়গায় সাইনবোর্ডে ভাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করা যায়।

এতে রোগীর স্বজনেরা অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে সচেতন হবে।’অভিযোগের বিষয়ে জানতে রোগীর স্বজন পরিচয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার ভাড়া ২০০০ টাকা চান অ্যাম্বুলেন্সের চালক রাজ্জাক।

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়ির তেলের সঙ্গে আরও অনেক খরচ হয়। এর কমে
হবে না, অন্যকোথাও যান।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। তাই আমি ঠিক জানি না। তবে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোহেল তানভীর
ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি
01314175615