ফুলবাড়ীতে হিন্দু কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, তিন যুবক গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৯:৪১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
- / ১৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুর।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নাবালিকা এক হিন্দু কিশোরী (১৭)কে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ অভিযোগে তিন যুবক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় শনিবার মধ্যরাতে অভিযুক্ত ওই তিন যুবক কে গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের হাজির মোড় গ্রামের মো. বেনজু মিয়ার পুত্র মো. আসিফ(১৯)। একই গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের পুত্র মো. সাগর ইসলাম(২২) ও চকচকা (তেলিপাড়া) গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের পুত্র মো. সোহাগ (২১)।
থানা পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানাগেছে, শনিবার (৯এপ্রিল’) রাত ৮টায় উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার একটি স্কুলের পার্শ্বে নির্জন স্থানে ওই কিশোরীকে (১৭) তার বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন,মো. আসিফ(১৯)। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তারই সহপাঠি একই গ্রামের মো. সাগর ইসলাম(২২) এবং তাকে সহযোগিতা করেন চকচকা (তেলিপাড়া) গ্রামের মো. সোহাগ (২১)।
পরে ভিডিও ধারণকারী সাগর ও সোহাগ ধর্ষণের ব্যাপারে কাউকে বললে হত্যার হুমকি সহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করারও হুমকি দেন ওই কিশোরীকে । এদিকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজা খুঁজির পর পার্শ্ববর্তী আমির হোসেনের বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন তার বাবা।
মেয়ের মুখে বিস্তারিত শুনে মধ্য রাতে পরিবারের সদস্যরা শিবনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নুরু ইসলাম কে বিষয়টি জানালে, ইউপি সদস্য গ্রামের লোকজন নিয়ে কৌশলে ওই যুবকদের আটক করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টায় থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তিন যুবক কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। এবং ধর্ষিতা কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নুর ইসলাম নুরু বলেন, মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ধর্ষিতার বাড়ীতে গিয়ে তার মুখে ঘটনার বর্ণনা শুনে, কৌশলে গ্রামের লোকজন কে সাথে নিয়ে ধর্ষকদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। আটক ব্যাক্তিরা মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশে খবর দেই।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশ্রাফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত মো.শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ধর্ষকদের গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। আটক ব্যাক্তিদের কাছ থেকে ভিডিও চিত্র উদ্ধার করা হয়েছে,সেই সাথে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে। এঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩) ধারায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং (০৬) তারিখ ১০/০৪/২০২২ইং। রেববার দুপুরে আসামীদের দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম