ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশবাসীকে জামায়াত আমিরের ঈদের শুভেচ্ছা পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, স্বপ্নের মুক্তি ফাউন্ডেশন, এর প্রতিষ্ঠাতা, আব্দুল্লাহ আল অভি, এর উদ্যোগে, আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেহেদি উৎসব ঢাকাস্থ ফুলবাড়ী সমিতির উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ‍্যডহক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন ফিরোজের ব্যক্তিগত পরিচয় ও তার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার নান্দাইলে বিএনপি নেতা মেজর জেনারেল (অব:) আনোয়ারুল মোমেনের সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বাস চাপায় অটোরিকশার যাত্রী নারীসহ নিহত ৩ সময়ের কন্ঠ’র অনুসন্ধানে রহস্যজনক ভাবে বিএনপির কর্মী সোহাগসহ চারজন কনডেম সেলে রাখার রহস্য উৎপাটন! যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহীদের সবাই নিহত সৌদির সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৫০ গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর আমজনতার দল চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করে ধর্ষিতা পেল সংসার ও সন্তানের স্বীকৃতি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

শরিফুল ইসলাম জুয়েল,সাতক্ষীরা ভোরের ধ্বনি।।

আদালতে মামলা করায় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে স্বীকৃতি এবং ধর্ষিতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিলেন রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর আদালতেই বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর আসামী নয়ন জামিন পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক অনেক বিচারপ্রার্থী ওই দম্পত্তিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় আদালতের বারান্দায়।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন এক নারী (২২)। নারী-শিশু ৪২২/২০ নম্বর ওই মামলায় আসামী করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়নকে। মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আসামী নয়নের জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। উভয় পক্ষে শুনানীর সময় বাদী পক্ষ থেকে বলা হয় বাদীনীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হলে আসামীর জামিনে তাদের কোন আপত্তি নেই।

এক পর্যায়ে আসামী নয়ন সকল শর্ত মেনে ওই দিনই এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং বাদীনীকে নগদ আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামী নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামী নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করে ধর্ষিতা পেল সংসার ও সন্তানের স্বীকৃতি

আপডেট টাইম : ০৫:০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

শরিফুল ইসলাম জুয়েল,সাতক্ষীরা ভোরের ধ্বনি।।

আদালতে মামলা করায় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে স্বীকৃতি এবং ধর্ষিতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিলেন রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর আদালতেই বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর আসামী নয়ন জামিন পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক অনেক বিচারপ্রার্থী ওই দম্পত্তিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় আদালতের বারান্দায়।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন এক নারী (২২)। নারী-শিশু ৪২২/২০ নম্বর ওই মামলায় আসামী করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়নকে। মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আসামী নয়নের জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। উভয় পক্ষে শুনানীর সময় বাদী পক্ষ থেকে বলা হয় বাদীনীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হলে আসামীর জামিনে তাদের কোন আপত্তি নেই।

এক পর্যায়ে আসামী নয়ন সকল শর্ত মেনে ওই দিনই এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং বাদীনীকে নগদ আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামী নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামী নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।