ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ডাব চু’রি করতে গিয়ে গাছের উপরই অজ্ঞান কিশোর, ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার গোবিন্দগন্জে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার ধান ও পাট বীজ এবং সার বিতরণ জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, মুক্তাগাছা বেগুনবাড়ী সহ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে, মহা অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক ব্যানার্জী দেশে প্রথমবারের মতো ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুরে খাঁশ জমি দখলের অন্যতম সহযোগী সার্ভেয়ার রফিক ও দখলরাজ সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান রমজান আলী গং ভারতের রাষ্ট্রপতি, রাজভবন কে জন রাজভবনের জন্য চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বস্তুনিষ্ঠ লেখনিতেই ছড়িয়ে পড়ে পরিচিতি, গড়ে ওঠে পাঠকের আস্থা নাজিরপুরে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতন

সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করে ধর্ষিতা পেল সংসার ও সন্তানের স্বীকৃতি

শরিফুল ইসলাম জুয়েল,সাতক্ষীরা ভোরের ধ্বনি।।

আদালতে মামলা করায় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে স্বীকৃতি এবং ধর্ষিতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিলেন রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর আদালতেই বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর আসামী নয়ন জামিন পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক অনেক বিচারপ্রার্থী ওই দম্পত্তিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় আদালতের বারান্দায়।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন এক নারী (২২)। নারী-শিশু ৪২২/২০ নম্বর ওই মামলায় আসামী করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়নকে। মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আসামী নয়নের জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। উভয় পক্ষে শুনানীর সময় বাদী পক্ষ থেকে বলা হয় বাদীনীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হলে আসামীর জামিনে তাদের কোন আপত্তি নেই।

এক পর্যায়ে আসামী নয়ন সকল শর্ত মেনে ওই দিনই এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং বাদীনীকে নগদ আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামী নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামী নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাব চু’রি করতে গিয়ে গাছের উপরই অজ্ঞান কিশোর, ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার

সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করে ধর্ষিতা পেল সংসার ও সন্তানের স্বীকৃতি

আপডেট টাইম : ০৫:০১:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১

শরিফুল ইসলাম জুয়েল,সাতক্ষীরা ভোরের ধ্বনি।।

আদালতে মামলা করায় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে স্বীকৃতি এবং ধর্ষিতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিলেন রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর আদালতেই বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর আসামী নয়ন জামিন পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক অনেক বিচারপ্রার্থী ওই দম্পত্তিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় আদালতের বারান্দায়।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন এক নারী (২২)। নারী-শিশু ৪২২/২০ নম্বর ওই মামলায় আসামী করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়নকে। মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আসামী নয়নের জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। উভয় পক্ষে শুনানীর সময় বাদী পক্ষ থেকে বলা হয় বাদীনীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হলে আসামীর জামিনে তাদের কোন আপত্তি নেই।

এক পর্যায়ে আসামী নয়ন সকল শর্ত মেনে ওই দিনই এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং বাদীনীকে নগদ আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামী নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামী নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।