ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৪ জন রোগী দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওই রোগীরা এসেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। এখন যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন, তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মানিকগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালটিতে আসেন জহিরুল আলম (৫৫)। তার বড় ছেলে সুমন জানান, গত তিনদিন আগে তার বাবার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই দুদিন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। এই হাসপাতালে খবর পেয়ে চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে এক হাজার শয্যা রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক আইসিইউ সমমানের শয্যা তৈরি করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ রয়েছে ১১২ টি, এইচডিইউ ১০০টি। তবে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউর চেয়ে অক্সিজেনের দরকার বেশি হয়। তাই এই হাসপাতলে প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন রয়েছে। পাশাপাশি ডায়ালাইসিসের জন্য পাঁচটি শয্যা রয়েছে। এছাড়া ১০টি ভিআইপি কেবিন ও ৮টি এসি কেবিন স্থাপন করা হয়েছে।

ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে যেভাবে ভর্তি হবেন: ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা আক্রান্ত রোগীরা প্রথমে হাসপাতালের ট্রায়াজে প্রবেশ করবেন। এই ট্রায়াজে দুটি জোন রয়েছে। এর মধ্যে ট্রায়াজ-১ এ যাদের মৃদু উপসর্গ আছে, ভর্তি হওয়া প্রয়োজন হবে না তাদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হবে। পরে এসে তিনি এই জোনে রিপোর্ট করতে পারবেন।

ট্রায়াজ-২ এ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসবেন, তারা সরাসরি ট্রায়াজ-২ এ চলে যাবেন। এখানে ছয় শয্যার আইসিইউ স্থাপন এবং ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের দ্বিতীয় তলায় জরুরি বিভাগে পাঠানো হবে।

জরুরি বিভাগে ৫০টি শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আসার পর যদি কারো শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাকে ৫ম তলায় আইসিইউ এবং এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হবে। এরমধ্যে ঝুঁকির মাত্রা কিছুটা কম হলে তাদেরকে কেবিনে রাখা হবে। কেবিনগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ হাই-ফ্লো নাসাল ক্যানোলা সুবিধা রয়েছে।

ডিএনসিসি করোনা হাসপাতলের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফসহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জাম ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখন তারা সেবাদানের জন্য প্রস্তুত।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

আপডেট টাইম : ০৬:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৪ জন রোগী দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওই রোগীরা এসেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। এখন যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন, তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মানিকগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালটিতে আসেন জহিরুল আলম (৫৫)। তার বড় ছেলে সুমন জানান, গত তিনদিন আগে তার বাবার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই দুদিন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। এই হাসপাতালে খবর পেয়ে চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে এক হাজার শয্যা রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক আইসিইউ সমমানের শয্যা তৈরি করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ রয়েছে ১১২ টি, এইচডিইউ ১০০টি। তবে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউর চেয়ে অক্সিজেনের দরকার বেশি হয়। তাই এই হাসপাতলে প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন রয়েছে। পাশাপাশি ডায়ালাইসিসের জন্য পাঁচটি শয্যা রয়েছে। এছাড়া ১০টি ভিআইপি কেবিন ও ৮টি এসি কেবিন স্থাপন করা হয়েছে।

ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে যেভাবে ভর্তি হবেন: ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা আক্রান্ত রোগীরা প্রথমে হাসপাতালের ট্রায়াজে প্রবেশ করবেন। এই ট্রায়াজে দুটি জোন রয়েছে। এর মধ্যে ট্রায়াজ-১ এ যাদের মৃদু উপসর্গ আছে, ভর্তি হওয়া প্রয়োজন হবে না তাদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হবে। পরে এসে তিনি এই জোনে রিপোর্ট করতে পারবেন।

ট্রায়াজ-২ এ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসবেন, তারা সরাসরি ট্রায়াজ-২ এ চলে যাবেন। এখানে ছয় শয্যার আইসিইউ স্থাপন এবং ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের দ্বিতীয় তলায় জরুরি বিভাগে পাঠানো হবে।

জরুরি বিভাগে ৫০টি শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আসার পর যদি কারো শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাকে ৫ম তলায় আইসিইউ এবং এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হবে। এরমধ্যে ঝুঁকির মাত্রা কিছুটা কম হলে তাদেরকে কেবিনে রাখা হবে। কেবিনগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ হাই-ফ্লো নাসাল ক্যানোলা সুবিধা রয়েছে।

ডিএনসিসি করোনা হাসপাতলের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফসহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জাম ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখন তারা সেবাদানের জন্য প্রস্তুত।