ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: র সালাহউদ্দিন আহমেদ ওআইসি সম্মেলনে ইসলামাবাদের বক্তব্য ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের গাজীপুরের আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ইসরাইলজুড়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১১ শ্রীপুর ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি, পথসভায় ফ্যাসিস্টের মত জানালেন ‘ শুভেচ্ছা’ নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব পেলো মোংলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বাংলাদেশকে নিয়ে তুর্কি সাংবাদিকের প্রবন্ধ, যা বলল অন্তর্বর্তী সরকার হল ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মারামারি’ শিখতে এসে তিনি এখন ‘কারাতে মাস্টার’ কারাতে কম দেয়নি হোসেন আলীকে—বাঁচতে শেখার পাশাপাশি

শাপলা চত্বর গণহত্যা: ৯৩ জন শহিদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ২৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে নিহতদের মধ্যে ৯৩ জনের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তালিকাটি প্রাথমিক খসড়া এবং এ সংখ্যা যাচাই-বাছাইয়ের পর আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (৪ মে) হেফাজতের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বশীল মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজহারী জানান, এটি একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা এবং যাচাই-বাছাই শেষে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা ওই ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম দাবি করেছিল তাদের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে তারা কোনো তালিকা পেশ করতে পারেনি। এটা নিয়ে হেফাজতের ভেতরেও অনেকের ক্ষোভ ছিল।

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ঘটনার পরপর হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে ৬১ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছিল শাপলা চত্বরের অভিযানে কেউ মারা যায়নি। যদিও তাদের এই বক্তব্য কেউই বিশ্বাস করেনি।

প্রসঙ্গত, ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও নারীনীতির বিরোধিতাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হাজার হাজার কওমি আলেম শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমান মহাসমাবেশে অংশ নেন।

সেদিন রাত গভীর হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। অভিযানে ব্যাপক গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। হেফাজতে ইসলামের দাবি, ওইদিন অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবার।

প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় নিহতদের নাম, ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিহতদের অধিকাংশই যুবক ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শাপলা চত্বর গণহত্যা: ৯৩ জন শহিদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

ফাইল ছবি

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে নিহতদের মধ্যে ৯৩ জনের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তালিকাটি প্রাথমিক খসড়া এবং এ সংখ্যা যাচাই-বাছাইয়ের পর আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (৪ মে) হেফাজতের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বশীল মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজহারী জানান, এটি একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা এবং যাচাই-বাছাই শেষে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা ওই ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম দাবি করেছিল তাদের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে তারা কোনো তালিকা পেশ করতে পারেনি। এটা নিয়ে হেফাজতের ভেতরেও অনেকের ক্ষোভ ছিল।

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ঘটনার পরপর হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে ৬১ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছিল শাপলা চত্বরের অভিযানে কেউ মারা যায়নি। যদিও তাদের এই বক্তব্য কেউই বিশ্বাস করেনি।

প্রসঙ্গত, ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও নারীনীতির বিরোধিতাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হাজার হাজার কওমি আলেম শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমান মহাসমাবেশে অংশ নেন।

সেদিন রাত গভীর হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। অভিযানে ব্যাপক গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। হেফাজতে ইসলামের দাবি, ওইদিন অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবার।

প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় নিহতদের নাম, ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিহতদের অধিকাংশই যুবক ছিলেন।