ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: র সালাহউদ্দিন আহমেদ ওআইসি সম্মেলনে ইসলামাবাদের বক্তব্য ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের গাজীপুরের আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ইসরাইলজুড়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১১ শ্রীপুর ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি, পথসভায় ফ্যাসিস্টের মত জানালেন ‘ শুভেচ্ছা’ নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব পেলো মোংলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বাংলাদেশকে নিয়ে তুর্কি সাংবাদিকের প্রবন্ধ, যা বলল অন্তর্বর্তী সরকার হল ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মারামারি’ শিখতে এসে তিনি এখন ‘কারাতে মাস্টার’ কারাতে কম দেয়নি হোসেন আলীকে—বাঁচতে শেখার পাশাপাশি

সৌদির সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৫০ গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • / ৮৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই অঞ্চলের সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৫ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাদ্রাসহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় মাজার ময়দানে ঈদের জামাতের ইমামতি করেন পীর মাওলানা জাকারিয়া আল মাদানী।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা মাদ্রাসা ময়দানে। এখানে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। শনিবার চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ আমরা ঈদ উদযাপন করছি। এছাড়া বিভিন্ন এলাকাতেও ঈদের জামাত হচ্ছে।

সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সৌদির সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৫০ গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর

আপডেট টাইম : ০৫:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই অঞ্চলের সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৫ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাদ্রাসহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় মাজার ময়দানে ঈদের জামাতের ইমামতি করেন পীর মাওলানা জাকারিয়া আল মাদানী।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা মাদ্রাসা ময়দানে। এখানে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। শনিবার চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ আমরা ঈদ উদযাপন করছি। এছাড়া বিভিন্ন এলাকাতেও ঈদের জামাত হচ্ছে।

সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।