শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে ৩০ কলেজের

- আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
- / ৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে আশঙ্কাজনকহারে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন রাজধানীর ৩০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে এসে তারা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এসব স্লোগানের মধ্যে রয়েছে—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে আমরা শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু রমজানে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ব্লকেড কর্মসূচির পরিবর্তে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে পাশের ফাঁকা রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।
শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সকাল-সন্ধ্যা অবস্থান কর্মসূচি’। আয়োজকেরা বলছেন, দেশজুড়ে আশঙ্কাজনকহারে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে সকল কলেজের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো—
১. ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে নিশ্চিত করা। ধর্ষকদের শাস্তি প্রকাশ্যে নিশ্চিত হলে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে।
২. ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষকদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে।
৩. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করা এবং ভিকটিম ও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তী ১৫ কার্যদিবস সময়ে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে একটিতেও অসামঞ্জস্য থাকলে, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. ধর্ষণের ঘটনায় সালিশি বিচার নিষিদ্ধ করতে হবে। বিচার নিশ্চিত করবে শুধুমাত্র রাষ্ট্র। পাশাপাশি অনৈতিক পন্থায় প্রশাসনের কারও সহযোগিতায় যদি ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি ছাড়া পায়, তবে তদন্ত অনুযায়ী তাঁকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করা যেতে পারে।
৬. চলমান মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।