ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অসুবিধায় রয়েছে।। ঠাকুরগাঁওয়ে ভার্চুয়ালি মির্জা ফখরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ইউক্রেনে হামলা বাড়ালেও ট্রাম্প নিশ্চিত পুতিন শান্তি চান

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার সর্বসাম্প্রতিক বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে লড়াই বন্ধ করাতে চুক্তিতে মধ্যস্থতা থেকে সরাতে পারবে না।

শুক্রবার ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর উপর রাতভর ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন। সেই সময়ে পাঁচটি অঞ্চলে লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানা হয়, আবাসিক ভবনগুলোর ক্ষতি হয় এবং বাসিন্দারা আহত হন।

তবে শুক্রবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, যখন পুতিন বলেন তিনি শান্তি চান তিনি তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা বিশ্বাস করেন।

ট্রাম্প বলেন, আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমার মনে হয় আমরা রাশিয়ার সঙ্গে খুব ভালো করছি। তিনি যদিও স্বীকার করেন যে এই মূহুর্তে ‘তারা ইউক্রেনে প্রচণ্ড বোমা বর্ষণ করছে’।

পুতিন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি তাই-ই করছেন তা যে কোন ব্যক্তি করতো। আমার মনে হয় ওই অবস্থানে থেকে যে কোন ব্যক্তি ঠিক এখন তাই-ই করতো।

ট্রাম্প কিয়েভের ব্যাপারে তার অব্যাহত হতাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, সত্যি বলতে কি, ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাদের হাতে কোন তাস নেই।

যখন জানতে চাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র কি ইউক্রেনকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে, ট্রাম্প বলেন, তা ইউক্রেনের উপর নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, আমার জানতে হবে তারা নিস্পত্তি চায়। আমিতো জানিনা যে তারা নিস্পত্তি চায়, তারা যদি নিস্পত্তি না চায় তা হলে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসবো কারণ আমরা চাই তারা নিস্পত্তি করুক।

ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে আনার কৌশল, যার মধ্যে রয়েছে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা প্রদানে এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহে বিরতি দেওয়া, যা ইউক্রেনকে আরও ঝুঁকির মুখে ফেলছে সেই সব ব্যাপারের বিরোধীতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে বলেন যে গোয়েন্দা তথ্য জানানোর ব্যাপারে যে বিরতি দেওয়া হয়েছে তার লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযান থেকে ইউক্রেনকে বিরত রাখা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউক্রেনে হামলা বাড়ালেও ট্রাম্প নিশ্চিত পুতিন শান্তি চান

আপডেট টাইম : ০৫:২১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার সর্বসাম্প্রতিক বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে লড়াই বন্ধ করাতে চুক্তিতে মধ্যস্থতা থেকে সরাতে পারবে না।

শুক্রবার ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর উপর রাতভর ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন। সেই সময়ে পাঁচটি অঞ্চলে লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানা হয়, আবাসিক ভবনগুলোর ক্ষতি হয় এবং বাসিন্দারা আহত হন।

তবে শুক্রবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, যখন পুতিন বলেন তিনি শান্তি চান তিনি তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা বিশ্বাস করেন।

ট্রাম্প বলেন, আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমার মনে হয় আমরা রাশিয়ার সঙ্গে খুব ভালো করছি। তিনি যদিও স্বীকার করেন যে এই মূহুর্তে ‘তারা ইউক্রেনে প্রচণ্ড বোমা বর্ষণ করছে’।

পুতিন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি তাই-ই করছেন তা যে কোন ব্যক্তি করতো। আমার মনে হয় ওই অবস্থানে থেকে যে কোন ব্যক্তি ঠিক এখন তাই-ই করতো।

ট্রাম্প কিয়েভের ব্যাপারে তার অব্যাহত হতাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, সত্যি বলতে কি, ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাদের হাতে কোন তাস নেই।

যখন জানতে চাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র কি ইউক্রেনকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে, ট্রাম্প বলেন, তা ইউক্রেনের উপর নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, আমার জানতে হবে তারা নিস্পত্তি চায়। আমিতো জানিনা যে তারা নিস্পত্তি চায়, তারা যদি নিস্পত্তি না চায় তা হলে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসবো কারণ আমরা চাই তারা নিস্পত্তি করুক।

ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে আনার কৌশল, যার মধ্যে রয়েছে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা প্রদানে এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহে বিরতি দেওয়া, যা ইউক্রেনকে আরও ঝুঁকির মুখে ফেলছে সেই সব ব্যাপারের বিরোধীতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে বলেন যে গোয়েন্দা তথ্য জানানোর ব্যাপারে যে বিরতি দেওয়া হয়েছে তার লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযান থেকে ইউক্রেনকে বিরত রাখা।