মোংলায় পৈত্রিক বাড়ি ও ঘের দখলের ঘটনায় মামলা করায় সাবেক অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি
![](https://somoyerkontha.com/wp-content/uploads/2024/10/FB_IMG_1727975776303.jpg)
- আপডেট টাইম : ০১:০৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোংলা প্রতিনিধি : মোংলার চিলা ইউনিয়নের ছবেদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের সামনে অবসরে যাওয়া একজন শিক্ষকের বাব দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একই এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ।
সরকারি টি, এ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ, ৩নং ওযার্ড জামায়াতের সহ সভাপতি জামায়াত নেতা মোঃ আবু সাঈদ খানের জমি, ঘের, এবং বাড়ী দখল এবং তাকে হত্যা করার পরিকল্পনাকারী চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারি এলাকার চিহ্নিত লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান মতিযার (৬৪) ও তার দলের সদস্য মোঃ ইসমাইল খাঁন (৩২) নজরুল খান (৩২) ফিরোজ খান(৪০) আলামিন খান (৩৮) সালমা খান (৩৩) জয়না বেগম (২৮) সালাউদ্দিন (৩৮) এবং আলামিন খান (৪০) মিলে তার বাব দাদার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর তৈরি করা বেড়া ভেঙ্গে ফেলে বেড়া তৈরি করতে আসে। এ সময়ে বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের ওপরও হামলা চালায় তারা। তার বাড়ির ভিতরে থাকা মালামাল লুট করার চেষ্টা চালায় ওই দুর্বৃত্তরা। এই বিষয়ে তিনি বাগেরহাট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি কিছু গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন। প্রাণভয়ে আবু সাঈদ খান তার মোংলার নিজ বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোটে আবু সাঈদ খানের করা মামলার কপি থেকে আরো জানা যায়, বাব দাদার আমল থেকে দীর্ঘ বছর ধরে বৈধ কাগজপত্র এবং আপোষ বন্টন এর মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন ১১ নং চিলা মৌজার বি,আর,এস ৮০ নং খতিয়ানের ৪৩৩৬ দাগে ০.২৩ একর এবং বি,আর,এস ৪৪২ নং খতিয়ানের ৪৩৩৬ দাগে ০.৩৩ একর ৪৩৩৮ দাগে ০.৪৮ একর ৪৪৭৯ দাগে ৫৬ একর ৪৪৮০ দাগে ১.২৯ একর, সর্বমোট ২.৮৯ একর নালিশী সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে মোংলা সরকারি টি, এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক এই অধ্যক্ষ আবু সাঈদ খান। ঘটনার দিন ৫ জানুয়ারী (২০২৫) বুধবার বিকাল ৫ টায় তার বাড়ির সম্পত্তি ওপর বেড়া তৈরি করতে আসে ওই সকল সন্ত্রাসী। এ সময় তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আবু সাঈদ খান সহ তার বাড়ির সদস্যদেরকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মতিয়ার খান এবং তার লাঠিয়াল বাহিনী খুবই ভয়ংকর, দাঙ্গাবাজ, পরসম্পদ লোভী, জনবলে বলিয়ান এবং লাঠিয়াল। অন্যের সম্পত্তি জোর করে ভোগ দখল করা তাহাদের নেশা ও পেশা। তারা আরো বলেন, অধ্যক্ষ আবু সাইদ খান একজন নিরীহ স্কুল শিক্ষক । আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর ন্যায় বিচার দাবি করি। এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।