ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি॥

হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসমুক্ত আছেন। বালিশিরা ও লস্করপুর ভ্যালির আওতাধীন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের দেউন্দিসহ ২৪টি, বাহুবলের ১০টি, নবীগঞ্জের দুটি ও মাধবপুর উপজেলার পাঁচটি বাগানের চা শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে। জেলার ছোট বড় মিলে ৪১টি চা বাগানের শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্ল্যাক ‘টি’ উৎপাদন কার্যক্রমে যুক্ত আছেন। এসব বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় দেড়কোটি কেজির বেশী চা পাতা উৎপাদন হয়ে আসছে।

২০২০ সালে মৌসুমের শুরুতেই করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাগান কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে চা পাতার উৎপাদন অব্যাহত রাখেন।

চুনারুঘাটের দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, শ্রমিকরা পরিশ্রমী। তারা রোদ বৃষ্টিতে কঠোর শ্রম করতে পারে। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে তেমন কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা দরিদ্র হলেও সচেতন থাকার চেষ্টা করছে।

বাহুবলের আমতলী চা বাগানের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা পাঠান বলেন, করোনার শুরুতেই আমরা শ্রমিকদের সচেতন করেছি। তাদের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করি। শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে এখন পর্যন্ত চা পাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে না।

দেউন্দি চা-বাগানের শ্রমিক অনিল মুড়া বলেন, করোনায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। বছর পর বছর ধরে গাছ থেকে চা-পাতা সংগ্রহ করছি। এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। সব একই রকম লাগে। উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ২১২২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭২১ জন। মারা গেছেন ১৮ জন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা

আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি॥

হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসমুক্ত আছেন। বালিশিরা ও লস্করপুর ভ্যালির আওতাধীন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের দেউন্দিসহ ২৪টি, বাহুবলের ১০টি, নবীগঞ্জের দুটি ও মাধবপুর উপজেলার পাঁচটি বাগানের চা শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে। জেলার ছোট বড় মিলে ৪১টি চা বাগানের শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্ল্যাক ‘টি’ উৎপাদন কার্যক্রমে যুক্ত আছেন। এসব বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় দেড়কোটি কেজির বেশী চা পাতা উৎপাদন হয়ে আসছে।

২০২০ সালে মৌসুমের শুরুতেই করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাগান কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে চা পাতার উৎপাদন অব্যাহত রাখেন।

চুনারুঘাটের দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, শ্রমিকরা পরিশ্রমী। তারা রোদ বৃষ্টিতে কঠোর শ্রম করতে পারে। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে তেমন কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা দরিদ্র হলেও সচেতন থাকার চেষ্টা করছে।

বাহুবলের আমতলী চা বাগানের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা পাঠান বলেন, করোনার শুরুতেই আমরা শ্রমিকদের সচেতন করেছি। তাদের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করি। শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে এখন পর্যন্ত চা পাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে না।

দেউন্দি চা-বাগানের শ্রমিক অনিল মুড়া বলেন, করোনায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। বছর পর বছর ধরে গাছ থেকে চা-পাতা সংগ্রহ করছি। এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। সব একই রকম লাগে। উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ২১২২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭২১ জন। মারা গেছেন ১৮ জন।