ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা

বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ থেকে
  • আপডেট টাইম : ০১:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৯৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। শনিবার দিনভর গণনা শেষে এ হিসাব পাওয়া গেছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমত সন্ধ্যা ৬টায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সকাল ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও দুটি ট্রাঙ্ক খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৪ দিন পর। এবারই প্রথম ৯ টি দানবাক্স ছাড়াও দুটি ট্রাঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. এরশাদ মিয়া, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রওশন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মী ছাড়াও মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নেন। প্রায় ১১ ঘন্টা গণনা শেষে পাওয়া গেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট সকালে মসজিদটির ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় টাকার পরিমান ছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। গতবারের তুলনায় এবার ৯৯ লাখ ২১ হাজার ২৫৮ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। এর বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ নানা ধরণের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর বর্তমানে মসজিদের আওয়াতাভুক্ত জমির পরিমান তিন একর ৮৮ শতাংশ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা

আপডেট টাইম : ০১:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। শনিবার দিনভর গণনা শেষে এ হিসাব পাওয়া গেছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমত সন্ধ্যা ৬টায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সকাল ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও দুটি ট্রাঙ্ক খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৪ দিন পর। এবারই প্রথম ৯ টি দানবাক্স ছাড়াও দুটি ট্রাঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. এরশাদ মিয়া, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রওশন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মী ছাড়াও মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নেন। প্রায় ১১ ঘন্টা গণনা শেষে পাওয়া গেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট সকালে মসজিদটির ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় টাকার পরিমান ছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। গতবারের তুলনায় এবার ৯৯ লাখ ২১ হাজার ২৫৮ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। এর বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ নানা ধরণের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর বর্তমানে মসজিদের আওয়াতাভুক্ত জমির পরিমান তিন একর ৮৮ শতাংশ।